জামালপুরের বকশীগঞ্জে ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দরে আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। ফলে চলতি বছরের ২৩ জুন থেকে এই পর্যন্ত কোনো মালামাল আমদানি ও রপ্তানি হয়নি। তবে কবে নাগাদ শুরু হবে তাও জানাতে পারেননি ধানুয়াকামালপুর স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা একেএম রফিকুল।
বন্দর সূত্র জানায়, জামালপুরের বকশীগঞ্জের একমাত্র স্থলবন্দর ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দর। ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে এই স্থলবন্দর থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে চার কোটি ৯৩ লাখ টাকা। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে আয় হয়েছে সাত কোটি ১৫ লাখ টাকা। ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পাথর আমদানি হয়েছে এক লাখ ২২ হাজার মেট্রিক টন। একইভাবে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে এক লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন পাথর আমদানি হয়। চলতি অর্থ বছর শুরুর এক সপ্তাহ আগেই অনিদিষ্টকালের জন্য আমাদানি রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এক দিকে যেমন সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান লাখপতি জানান, ধানুয়া কামালপুর স্থরবন্দরে আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে আসছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাথরের সংকট দেখা দিয়েছে। দামও বেড়ে গেছে।
তবে এ বিষয়ে ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা একেএম রফিকুল জানান,স্থলবন্দরে আমদানি ও রপ্তানি বন্ধের বিষয়ে বাংলাদেশের কোনো সমস্যা নেই। এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে শুধুমাত্র বুলডুজার পাথর আমদানি হয়ে থাকে। বর্ষকালে ভারতের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার সমস্যা থাকার কারণে পাথরবোঝাই পরিবহন ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দরে আসতে পারছে না।
কিন্তু আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বন্দরের অভ্যন্তরীণ কাজ চলমান রয়েছে বলে জানা এই কর্মকর্তা।