কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণের ২২ ঘণ্টার মাথায় মাদ্রাসার নূরানী বিভাগের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারিহা আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে মাদ্রাসার পেছন অংশে পানি চলাচলের ড্রেইন থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন নিহত শিক্ষার্থীর মা জেসমিন আক্তার।
এ ঘটনায় টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম সিকদার পাড়ার মুফতি আলী আহমদের ছেলে এরফান (১৭ কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অপহরণের পর হত্যার শিকার ফারিহা আক্তার (৯) টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড মৌলভী বাজারের ছানা উল্লাহর মেয়ে।
ভিকটিমের মা জেসমিন আক্তার বলেন, বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমার মেয়ে ফারিহা হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়া তার বড় আম্মার বাড়ি থেকে বাসায় ফিরছিল। পথে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে আমার মোবাইলে কল করে মুক্তিপণ হিসাবে ৫ লাখ টাকা দাবি করেছিল অপহরণকারীরা। এ ঘটনায় রাতে টেকনাফ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু অপহরণের শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হ্নীলা আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুসসুন্নাহ মাদ্রাসার ভেতর একটি ড্রেইন থেকে আমার মেয়ের লাশ পুলিশ উদ্ধার করেছে। ফারিয়া এ মাদ্রাসার নূরানী বিভাগের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জানান, অপহৃত মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ফারিহার লাশ মাদ্রাসার পেছনে পানি চলাচলের ড্রেইনে পাওয়া যায়। এ ঘটনার মূলহোতা হিসেবে শনাক্ত করে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
কক্সবাজারে মিললো কিশোরের গলাকাটা লাশ
অপরদিকে, কক্সবাজার শহরের বাইপাস এলাকার উত্তরণের পাশে কাটাপাহাড় সড়কের ওপর থেকে গলাকাটা এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৮ জুলাই) দুপুরের দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার সদর থানার ওসি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
ওসি জানান, সড়কে একটি লাশটি পড়ে আছে দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। তার ঘাড় ও বাম হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। লাশের বয়স ১০-১২ হতে পারে। তার পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে বলে উল্লেখ করেন পুলিশ।