শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১
The Daily Ittefaq

বিরোধপূর্ণ সীমান্তের সমাধান চায় ইরাক ও কুয়েত

আপডেট : ০১ আগস্ট ২০২৩, ২০:৩৯

ইরাক ও কুয়েত উপসাগরের বিরোধপূর্ণ সামুদ্রিক এলাকাসহ তাদের সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে একটি চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য কাজ করবে। রবিবার দেশ দু’টির দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানিয়েছেন।

সাদ্দাম হোসেনের শাসনামলে ইরাক কুয়েত আক্রমণ করার পর ১৯৯৩ সালে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে কার্যত স্থল ও সামুদ্রিক সীমানা জাতিসংঘের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছিল। ইরাকের কর্মকর্তারা কুয়েতের স্থল সীমান্তকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার কথা ব্যক্ত করলেও সামুদ্রিক সীমান্ত নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের বিষয়টি এখনো রয়ে গেছে। 

বাগদাদ জোর দিয়ে বলেছে যে, এ সীমান্ত রেখাচিত্রটি উপসাগরীয় জলসীমায় তাদেরকে অবাধ প্রবেশাধিকার প্রদান করবে। এটি আবার তাদের অর্থনীতি এবং তেল রপ্তানির জন্য ও গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসা বিরোধের কারণে কুয়েতের উপকূলরক্ষীরা নিয়মিতভাবে ইরাকি জেলেদের আটক করে এবং ‘অবৈধভাবে’ কুয়েতের আঞ্চলিক জলসীমায় প্রবেশ করায় তাদের জাহাজ  জব্দ করে থাকে।

ঐদিন বাগদাদে কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালেম আল-সাবাহর সাথে সাক্ষাতের পর ইরাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হোসেন বলেন, তাদের মধ্যে আলোচনার সময় দুই দেশের ‘সীমান্ত সমস্যা সমাধানের উপর বেশি জোর দেওয়া হয়।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘বিভিন্ন কারিগরি কমিটির মাধ্যমে এ সীমান্ত আলোচনা চলবে।’ বাগদাদ আগামী ১৪ আগস্ট এ আলোচনা সংক্রান্ত একটি আইনি কমিটির বৈঠকের আয়োজন করবে। 

এদিকে সাবাহ বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে, বিশেষ করে সামুদ্রিক সীমানা নির্ধারণে দেশ দুইটি ‘সম্পূর্ণ একমত।’

সাবাহ ইরাকের পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মাদ আল-হালবুসির সাথেও সাক্ষাত করেন। কুয়েতের সরকারি বার্তা সংস্থা কুনা পরিবেশিত খবরে বলা হয়, সাবাহ এবং হালবুসি দুই দেশের সামুদ্রিক সীমানা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা করেন। ২০২১ সালে বাগদাদ যুদ্ধের ক্ষতিপূরণের চূড়ান্ত অর্থ হিসেবে প্রতিবেশী দেশ কুয়েতকে ৫ হাজার দুইশ’ কোটি ডলারের বেশি প্রদান করে।

সাদ্দামের বাহিনী ১৯৯০ সালের আগস্টে তেল সমৃদ্ধ দেশ কুয়েত দখল করে। এর সাত মাস পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক জোট দেশটিকে দখল মুক্ত করে।

ইত্তেফাক/এএইচপি