বগুড়ার শেরপুরে মাদ্রাসার টয়লেট থেকে এক ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত মো. কাউছার আহমেদ (৮) উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের আয়রা গ্রামের ফরিদুল ইসলামের ছেলে।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শাহবন্দেগী ইউনিয়নের শেরুয়া বটতলা বাজার এলাকায় অবস্থিত তাহ্সীনুল কোরআন আদর্শ হাফেজিয়া মাদ্রাসার টয়লেট থেকে ঐ শিশু শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরা জানান, বিগত ছয় মাস আগে মাদ্রাসাটির মক্তব বিভাগে ভর্তি হয় কাউছার আহমেদ। এরপর থেকে মাদ্রাসার আবাসিক বোর্ডিংয়ে থেকেই নিয়মিত পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিল। প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার ফজর নামাজ শেষে ক্লাস শুরু হয়। সকাল ৬টা ৪০ মিনিট থেকে ৭টা পর্যন্ত নাস্তার বিরতি দেওয়া হয়। পরে আবার ক্লাস শুরু হলে ফজলুল করিম সিয়াম প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে টয়লেটে যায়। এ সময় মক্তব বিভাগের ছাত্র কাউছার আহমেদকে টয়লেটে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। এ সময় তার নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। তাত্ক্ষণিকভাবে বিষয়টি মাদ্রাসার শিক্ষকদের অবহিত করা হয়।
মাদ্রাসার শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন জানান, ঘটনাটি জানার পরপরই টয়লেট থেকে ঐ ছাত্রকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক কাউছারকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে বিষয়টি মাদ্রাসার মুহতামিমকে (প্রধান শিক্ষক) জানানো হলে তিনি থানায় খবর দেন। এরপর পুলিশ এসে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
শেরপুর থানার ওসি বাবু কুমার সাহা সাংবাদিকদের বলেন, শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। তবে দড়ি দিয়ে খেলতে গিয়ে গলায় ফাঁস লেগে তার