টানা বৃষ্টির কারণে খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে দিন কাটাচ্ছিলেন পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীরা। তবে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় এ জেলায় পাহাড় ধসের ঝুঁকি কিছুটা হলেও কমেছে। নতুন করে পাহাড় ধসের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে পাহাড়ি ঢলের কারণে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে। নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় নিন্মাঞ্চল থেকে পানি সরতে শুরু করেছে। বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে উঠা পরিবারগুলো বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন বলে জানান খাগড়াছড়ি পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহ আলম। কেউ কেউ পানি সরে যাওয়ায় বাড়িঘর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করছেন।
এছাড়া রাঙ্গামাটির সাজেক পর্যটক কেন্দ্রে আটকে পড়া পর্যটকরা বুধবার (৯ আগস্ট) সকাল ভেঙে ভেঙে যাওয়া শুরু করেছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার জানান, পাহাড়ি ঢলের কারণে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে সাজেকের কিছু সড়কে পানি থাকায় যান চলাচল করতে পারছে না। সে জন্য এখনো ২৫০ জন পর্যটক বিভিন্ন রিসোর্টে রয়ে গেছে।
সাজেক রির্সোট মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ন দেব বর্মন জানান সাজেকে ১৫০ টি রিসোর্টে তিন দিন ধরে প্রায় এক হাজারের মতো পর্যটক আটকা পড়ে। বিভিন্ন রিসোর্ট মালিকরা বিনামূল্যে অনেক পর্যটকদের রাত্রি যাপন করার সুযোগ দিয়েছেন।
সাজেক থানার ওসি মো নুরুল হক, জানান মাচলং বাজার ও বাঘাইহাট বাজারের সড়কের ওপর পানি থাকায় এখনো নৌকা দিয়ে লোকজন চলাচল করছে। তবে বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) পানি কমলে আটকে থাকা পর্যটকরা ফিরতে পারবেন।