ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তর নদীর পানি তৃতীয় দফায় আবারও বেড়েছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে চরাঞ্চলের প্রায় ২ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
প্রবল বর্ষণে তিস্তা পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। রোববার (১৩ আগস্ট) সকালে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। কোথা কোথাও বিপদসীমার ছুঁই ছুঁই করছে।
পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বন্যার আশঙ্কার পাশাপাশি বেড়েছে নদীর ভাঙনের তীব্রতা। পানির চাপে বুড়ির হাট স্পার বাঁধ ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে। তিস্তার নদীর পাড়ের হাজার হাজার মানুষ ভাঙন আতঙ্কে দিন যাপন করছে। পানি বন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ২ হাজার মানুষ।
রাজারহাট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা প্রত্যেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের বন্যার বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা বলছি। পানিবন্দী কোনো পরিবার হলেই তালিকা করে জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
রাজারহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুন নাহার বলেন, উপজেলায় প্রবল বর্ষণে রোপা আমন ১শ ৩৫ হেক্টর জমির ক্ষতি হয়েছে। আমরা ৭ ইউনিয়নে উপ-সহকারী কৃষি অফিসারকে সর্বোক্ষণিক তদারকি করার নির্দেশ দিয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, ভারী বর্ষণের কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানির চাপে বুড়ির হাট স্পার বাঁধ ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে।