সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১
The Daily Ittefaq

মার্কিনী ও তাদের দোসররা অন্ধ, বাংলাদেশের উজ্জ্বলতা দেখতে পায় না: ইবি উপাচার্য

আপডেট : ১৫ আগস্ট ২০২৩, ২২:২১

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেছেন, মার্কিনী ও তাদের দোসররা অন্ধ, তারা বাংলাদেশের উজ্জ্বলতা দেখতে পায় না। আজ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আকাশে উজ্জ্বল সূর্য উদিত, এদিকে তাকালে তাদের চোখ ঝলসে যায়। তাই তারা কালো চশমা দিয়ে আবার বাংলাদেশে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য দেখতে চায়।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ইবির বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন, শেখ মুজিব হচ্ছে একটি চেতনার নাম। শেখ মুজিব মুক্ত জীবনের গান, মুক্ত জীবনের বন্দনা করেন। এমন একটি প্রত্যয়ের নাম। অন্ধকারকে ছিঁড়ে ছিঁড়ে আলো আনার যে প্রত্যয়, সারা পৃথিবীর অল্প কয়জন মানুষ তাদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু অন্যতম। তিনি জাতির পিতা হওয়ার আগেই বিশ্ব রাজনীতিতে আসীন হয়েছিলেন। আর তাকেই এ আগষ্টে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। আগস্ট মাসেই একুশে আগস্ট আর এক নৃশংসতা। এ যেন কারবালা- হত্যা. হত্যা.. হত্যা...। 

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর দেশে কোনো খাদ্য নেই, টাকা নেই, ব্যাংক নেই, রাস্তাঘাট কিচ্ছু নেই। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে ১৯৭৪ এবং ১৯৭৫ সালে জিডিপি ছিল ৯.৬। আজকের ৫২ বছরের এই বাংলাদেশ পর্যন্ত সেখানে পৌঁছাতে পারেননি। বাংলাদেশের আজকের যে ভিত্তি, এই যে উন্নয়ন, আজকে যে সমুদ্রে বিজয়, যা কিছু দেখছেন যেভাবে দেখছেন, এর প্রত্যেকটির ভিত্তি বঙ্গবন্ধু রচনা করে দিয়ে গিয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের এই ১৪ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশের কি দারুণ সময় চলছে। আমরা আমাদের ছাত্র জীবনে এমন কোনো গ্রাম দেখি নাই যে গ্রামে অন্তত ৯৫ ভাগ মানুষ কোনো না কোনো সময় অন্তত একবেলা না খেয়ে থেকেছে। আমি আমার গ্রামের উদাহরণ দিতে পারি- মাত্র পাঁচটা বাড়িতে সারা বছরের খাবার চাল বোধহয় থাকতো। বাকিদের হয় কিনতে হতো অথবা উদ্ধার বা ধার করে এনে খেতে হতো। অনেক সময় না খেয়ে থাকতো। ওই বাংলাদেশ থেকেই আজকের বাংলাদেশ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড শাহাদাৎ হোসেন আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মাহবুবুর রহমান ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচএম আলী হাসান। 

এদিকে টিএসসির পরিচালক প্রফেসর ড. বাকী বিল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়। 

ইত্তেফাক/পিও