খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনের ওষুধ ব্যবসায়ীরাও ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে। টানা ৩ দিন ধর্মঘটের পর বৃহস্পতিবার রাতে (১৭ আগস্ট) তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন।
দোকান ভাঙচুর ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে গত মঙ্গলবার সকাল থেকে ধর্মঘট শুরু করেন খুমেক হাসপাতালের সামনের ওষুধ মার্কেটের অর্ধশতাধিকের বেশি দোকান মালিক ও কর্মচারী। ওষুধ ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েন রোগী ও তাদের স্বজনরা। ওষুধ কিনতে তাদের দুই থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে যেতে হচ্ছিল।
বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির পরিচালক জিল্লুর রহমান জুয়েল জানান, বৃহস্পতিবার রাতে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সেখ সালাউদ্দিন জুয়েলের সঙ্গে বৈঠক শেষে ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন। রাতেই হাসপাতালের সামনের ৯০টি দোকান খুলে দেওয়া হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে কর্মবিরতির চতুর্থ দিনে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ তাদের কর্মবিরতির ঘোষণা দেন।
ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের মেডিক্যাল কলেজ শাখার সভাপতি সাইফুল ইসলাম অন্তর ও সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুজ্জোহা সজীব এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের হামলায় জড়িত দু'জন গ্রেপ্তার হওয়া, সিটি মেয়র, সংসদ সদস্য, বিএমএ খুলনার আশ্বাসে জনভোগান্তি বিবেচনা করে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মসূচি সাময়িক প্রত্যাহার করা হলো।
উল্লেখ্য, গত সোমবার সন্ধ্যার দিকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী বিপ্লব সহপাঠীদের নিয়ে মেডিসিন কর্নার নামে হাসপাতালের সামনে একটি দোকানে ওষুধ কিনতে যান। সেখানে ওষুধের দাম নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা, সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হন। খবর পেয়ে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।