বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

মাধবপুরে বর্ষাকালীন তরমুজ

আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২৩, ১৫:২২

হবিগঞ্জের মাধবপুর ঊপজেলার সীমান্ত এলাকা  ধর্মঘর, চৌমুহনী, বহরা ইউনিয়নের শতাধিক একর জমিতে চাষ করা হয়েছে বর্ষাকালীন তরমুজ। প্রতিদিন পাঠানো হচ্ছে ঢাকা সিলেট চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্নস্থানে। আকর্ষণীয় রঙয়ের খুবই মিষ্টি সুঘ্রাণ হওয়ায় মাধবপুরের তরমুজ খুবই সমাদৃত। বর্ষাকালীন তরমুজ চাষ অধিক লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছরই বাড়ছে চাষীর সংখ্যা। 

সম্প্রতি মাধবপুরের চৌমুহনী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর  গ্রামের মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, বিস্তর এলাকাজুড়ে তরমুজের জমি। তরমুজ গাছের সবুজ লতায় আচ্ছাদিত পুরো এলাকা, যেন সবুজের মহাসমারোহ। সারা মাঠ জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ছোট বড় অনেক তরমুজ। কোনটি হলুদ আবার কোনটি সবুজের ওপর ডোরাকাটা।  

কথা হয় কৃষি বিভাগের একাধিক পুরস্কার প্রাপ্ত চৌমুহনী ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের কৃষক বদু মিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, এ বছর নিজে চার একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। থাইল্যান্ড, চীন ও ভারত থেকে বীজ সংগ্রহ করে কার্ণিয়া ও মনিয়া জাতের তরমুজ চাষ করছেন। ধর্মঘর, চৌমুহনী, বহরা ইউনিয়নের শতাধিক একর জমিতে বর্ষাকালীন তরমুজ চাষ করা হয়েছে। এ এলাকার মাটি বেলে-দোআঁশ হওয়ায় তরমুজ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। বৃষ্টির পানি জমে থাকে না এমন জমিতে  তরমুজ  চাষ করা হয়। জমিতে একাধিক চাষ দিয়ে প্রয়োজনীয় সার গোবর দিয়ে বেড তৈরি করতে হয়। মালচিং সিট দিয়ে  ডেকে  বেডে তরমুজ বীজ রোপন করা হয়। ৬০দিন পর তরমুজ বিক্রি করা যায়। প্রতি বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করতে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা খরচ করে ২লক্ষাধিক টাকার তরমুজ বিক্রি করা যায়।

হরিণখোলা গ্রামের নানু মিয়া জানান, বর্ষাকালীন তরমুজ চাষ অধিক লাভজনক এবং অল্প সময়ের ফসল হওয়ায় কৃষকরা তরমুজ চাষের প্রতি বেশি আকৃষ্ট। কার্ণিয়া জাতের তরমুজ বাহিরে সবুজ সাদা ডোরা কাটা ভেতরে হলুদ। মনিয়া বাহিরে আকর্ষনীয় হলুদ ভিতরে লাল। সুঘ্রান ও খুবই মিষ্টি হওয়ায় বেশী দামে বিক্রি হয় এবং সব জায়গায়ই মাধবপুরের তরমুজ সমাদৃত। 

মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান জানান, বর্ষাকালীন তরমুজ চাষে মাধবপুরে কৃষকদের মাঝে সারা জাগিয়েছেন বদু মিয়া। তিনি কৃষি বিভাগের একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন। তার প্রেরণায় প্রতি বছরই জমি ও চাষীর সংখ্যা বাড়ছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই মাধবপুরের বর্ষাকালীন তরমুজ বিদেশে রপ্তানি করা যাবে। 

ইত্তেফাক/কেকে