ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের এক গৃহকর্মীকে এক মাস ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগে উঠেছে। এঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ করলেও মামলা নিচ্ছে না পুলিশ।
অভিযুক্তরা হলেন কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা উত্তর পাড়া জামে মসজিদ রোড় এলাকার বাসিন্দা স্বপন ও তার স্ত্রী নাসরিন।
ভুক্তভোগী মেহেরুন আক্তার (১৪) অভিযোগ করে বলে, এক বছর আগে গৃহকর্তা স্বপনের স্ত্রী নাসরিন তার বাসায় তাকে গৃহকর্মী হিসেবে কাজে রাখেন। ছয় মাস ভালো আচরণ করেন। এরপর বাড়ির কর্তা স্বপনের কু প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মিথ্যা চুরির অভিযোগ এনে তার ওপর প্রায় নির্যাতন চলতো। এর ধারাবাহিকতায় গত একমাস ধরে মেয়েটিকে একটি রুমে তালা দিয়ে রাখা হয় এবং দিনে রাতে নামমাত্র একবার খাবার দেওয়া হতো। এর পাশাপাশি গভীর রাতে তার হাত-পা বেঁধে গরম লোহা দিয়ে ছ্যাঁকা দিয়ে ঝলসিয়ে দেয় স্বপন ও তার স্ত্রী নাসরিন। পরবর্তীতে আশপাশের লোকজন ভুক্তভোগীর মাকে খবর দেয় এবং জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিলে গত ১০ আগস্ট পুলিশ এসে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে তার মায়ের কাছে দিয়ে যান। এ ঘটনায় ১১ আগস্ট ভুক্তভোগী মা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন এবং মামলা করা চেষ্টা করেন। কিন্তু গত ১০ দিনেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো আপোষে পরামর্শ দেয়। আর বলে, আপস করলে বেশ কিছু টাকা পাবেন। তা দিয়ে বেশকিছু দিন ভালোভাবে চলতে পরবেন।
অভিযুক্ত স্বপন বলেন, আমার বাসায় এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় যোগাযোগ করা হলে থানার ওসি মো. শাহ জামান বলেন, এ রকম ঘটনা আমার জানা নেই। এমন কোন ঘটনা ঘটে থাকলে ভুক্তভোগীকে থানায় পাঠিয়ে দেন। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।