রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে গৃহবধূ মিনু বেগমকে (৩০) হত্যার পর লাশ সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখার ঘটনায় নিহতের স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সকালে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১০ ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার জানান, ১২ বছর আগে চাচাত বোন মিনু বেগমকে বিয়ে করেন বালিয়াকান্দি উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের উজ্জল শেখ। কোনো সন্তান না হওয়ায় তিন বছর আগে আরেকটি বিয়ে করেন উজ্জল। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। মিনুকে মারধরও করতো স্বামী। এসব বিষয় নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে গত ৫ আগস্ট ভোরে স্ত্রী মিনু বেগমকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ সেপটিক ট্যাংকের ভেতর ফেলে দেয় উজ্জল। এ কাজে উজ্জলকে সহযোগিতা করেন তার বাবা কুদ্দুস শেখ ও মা জহুরা বেগম। এরপর মিনু অন্য কারও সঙ্গে পালিয়ে গেছে বলে অপবাদ দিয়ে আসছিলো উজ্জল।
এদিকে, বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে মিনুকে না পেয়ে উজ্জল ও তার বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে গত ৮ আগস্ট বালিয়াকান্দি থানায় অভিযোগ করেন মিনুর মা। পরে ১৯ আগস্ট উজ্জলের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে গন্ধ বের হলে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে মিনুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওইদিনই মিনুর মা সোনা বানু বাদী হয়ে উজ্জল ও তার বাবা-মাসহ অজ্ঞাত ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে বালিয়াকান্দি থানায় মামলা করেন।
র্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ২১ আগস্ট রাত পৌনে ৮টার দিকে ফরিদপুর শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড় এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামি উজ্জল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া মামলার তিন নম্বর আসামি ও নিহতের শাশুড়ি জহুরা বেগমকে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।