সাভারে পরিবারের সদস্যদের অচেতন করে নবম শ্রেণি পড়ুয়া এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় যুবলীগ নেতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে গ্রেপ্তারদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন ভাকুর্তা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও একই ইউনিয়নের কৃষক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ, তার ভাই যুবলীগ ইউনিয়ন কমিটির সদস্য কামাল হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা দ্বীন মোহাম্মদ। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন প্রধান অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য হাবিবুল্লাহ।
পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে জানালার গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে অভিযুক্তরা। এর আগে কৌশলে বাড়ির সবাইকে খাবারের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে অচেতন করেন তারা। পরে অভিযুক্তরা ভুক্তভোগী কিশোরীর কক্ষে প্রবেশ করে হাত-পা বেঁধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এ সময় তারা বাড়ির আলমারি ভেঙে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল লুট করে নিয়ে যায়। ভোরে বাড়ির সবার জ্ঞান ফিরলে তারা বিষয়টি বুঝতে পারেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানায়, প্রতিবেশী সাবেক ইউপি সদস্য হাবিবুল্লার সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নিলে হাবিবুল্লা তাদের ওপর ক্ষুব্ধ হন। তার নির্দেশে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর পরিবারের।
সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও লুটপাটের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।