সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

নেত্রকোনায় এএসআইয়ের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মানববন্ধন

আপডেট : ২৬ আগস্ট ২০২৩, ০২:১৫

গৃহবধূ ঝর্ণা আক্তারকে হত্যার অভিযোগে নেত্রকোনা সদর উপজেলার সিংহের বাংলা ইউনিয়নের বাংলাবাজারে পুলিশের এক এএসআই ফিরোজ খাঁসহ আসামিদের দ্রুত বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করা হয়। গত বৃহস্পতিবার এই কর্মসূচি পালন করে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এ সময় বক্তব্য রাখেন মারা যাওয়া ঝর্ণার স্বামী আলম খাঁ, নিহতের বড় ভাই নুরুল আমিন, বাংলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাফিজা আক্তার, হাজি মো. আব্দুল জলিল, উজ্জ্বল নাগ, রানা সরকার, নিহতের মেয়ে আনিকা আক্তার, ছেলে তামিম খাঁসহ অন্যরা।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্র জানায়, জেলার পূর্বধলা উপজেলার আগমারকেন্ডা গ্রামের আলম খানের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই খোয়াজ খানের জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনার জেরে গত ২৭ মার্চ দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের খোয়াজ খানের লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে আলম খানের স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার, ছেলে তামিম, ভাই পাপন, ভাইয়ের ছেলে মাহাবুব ও সাকিবকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।

পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নেত্রকোনা হাসপাতালে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন রাত ১১টার দিকে ফের আহতদের ওপর হামলা চালিয়ে ঝর্ণাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে তাকে প্রথমে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরদিন ২৮ মার্চ চিকিত্সাধীন অবস্থায় ঝর্ণা আক্তার মারা যান।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই নেত্রকোনা সদর উপজেলার সিংহের বাংলা গ্রামের রুহুল আমিন বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় অভিযুক্ত পুলিশের এএসআই ফিরোজ খাঁসহ (মারা যাওয়া ঝর্ণার চাচাতো দেবর) ৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে মামলার আসামি এএসআই ফিরোজ খাঁকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মামলার বাদীকে আসামিপক্ষের লোকজন  ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।  মামলাটির ন্যায় বিচার পেতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানানো হয়।অভিযুক্ত পুলিশের এএসআই ফিরোজ খাঁসহ আসামিরা পলাতক থাকায় এবং মুঠোফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা যায়নি। পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় গত ২৯ মার্চ নিহতের ভাই রুহুল আমিন বাদী হয়ে খোয়াজ খাঁ, ফিরোজ খাঁ, আরমান খাঁ, আবু বকর ও সিরাজ খাঁসহ ৯ জনকে আসামি করে পূর্বধলা থানায় একটি মামলা করেছে। মামলার তদন্ত চলছে।

ইত্তেফাক/এএইচপি