ভোলার উপকূল জুড়ে টানা বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে মৌসুমি সবজির পাশাপাশি, আমনের বীজতলা ও আউশ ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কোথাও কোথাও আবার ডুবে গেছে মাছের ঘের। এতে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছেন ভোলার চাষিরা।
কৃষি বিভাগ বলছে, ভোলায় টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জলাবদ্ধতায় মৌসুমি সবজি, আমনের বীজতলা ও আউশ ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
শিবপুরের কৃষক জাবেদ বলেন, ‘ধারদেনা করে আমি কিছু বীজ জমিতে লাগিয়েছি। পাশাপাশি কিছু মৌসুমি সবজি শসা, বরবটি, লাউ চাষ করেছিলাম। কিন্তু হঠাত্ অতিরিক্ত বৃষ্টির পানিতে ডুবে ফসলগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এখন আমি বেশ চিন্তায় পড়ে গেছি, কিভাবে ধার-দেনা শোধ করব।’ একই এলাকার কালাম, মিজান নাগরসহ অন্য কৃষকরা একই কথা বলেন। ধারদেনা ও সমিতি থেকে টাকা নিয়ে শসা, লাউ ও জালি কুমড়া ও আমনের বীজতলা তৈরি করেছেন। বৃষ্টির পানি জমে থাকায় গাছের গোড়া পচে গেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ভোলার উপ পরিচালক মো. হাসান ওয়ারিসুল কবীর বলেন, ‘ভোলা জেলা শাক সবজি উত্পাদনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ হাজার ৪৪ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কৃষকরা আবাদে সক্ষম হয়েছেন। সম্প্রতি বৃষ্টিপাতে কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে পানি সরে গেলে কৃষকরা আবার তা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবেন বলে আমি মনে করি।’
তবে কিছু কিছু এলাকায় কৃষকরা আউশ ধানের ভালো ফলন পেলেও ধানের বর্তমান দামে তারা লাভবান হওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন। তাদের দাবি, কৃষকদের হাতে ফসল থাকতেই বাজার মূল্য ভালো রাখলে কিছুটা লাভের মুখ দেখবেন তারা। আর না হলে এত পরিশ্রম করে আউশ ধান চাষ করেও তাদের ভাগ্যে গুণতে হবে লোকসান। এমনটি ধারণা জেলার অধিকাংশ আউশ এবং আমন চাষিদের।