প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ আফ্রিকায় তার সাম্প্রতিক সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আব্বার চিঠিতেই খবর পাই যে, মানিক চাচা (তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া) মারা গেছেন। তিনি বলেন, মানিক চাচা যখন মারা যান, আমি কিন্তু তখন দেশে ছিলাম না। এটা হলো ১৯৬৯ সালে। আমি তখন ইটালিতে ছিলাম।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকাল ৪টার দিকে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক সিনিয়র সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আব্বার চিঠিতেই আমি খবরটা পাই, মানিক চাচা আর নাই। এবং মারা গেছেন। কাজেই আমরা কখনো আওয়ামী লীগের হাল ধরবো বা দেশের হাল ধরবো এ ধরনের চিন্তা-ভাবনা আমাদের মাথায় তো কখনো আসেনি।
শেখ হাসিনা বলেন, হ্যাঁ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম স্কুল জীবন থেকে। স্কুলের ওয়াল (দেয়াল) টপকে মিছিলে অংশগ্রহণ করেছি। কলেজে থাকতেও করেছি। কলেজের ভিপি ছিলাম। ইউনিভার্সিটির কমিটিতে ছিলাম। কখনো কোনো পদের জন্য আমরা রাজনীতি করিনি। দলের প্রয়োজনে যখন যেখানে প্রয়োজন হয়েছে করেছি।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভদ্রলোকের যদি এতই আত্মবিশ্বাস থাকতো আমি কোনো অপরাধ করিনি। তাহলে তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিবৃতি ভিক্ষা করে বেড়াতেন না। আমাদের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন।
দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে সিন্ডিকেট ও মন্ত্রীদের ব্যর্থতার বিষয় তুলে ধরেন সংবাদ সম্মেলনে। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা তো বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। সাংবাদিক অভিযোগ করে বলেন, দুজন মন্ত্রী সরাসরি বলেছেন- ওখানে হাত দিলে বিপদ আছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোন মন্ত্রী? সাংবাদিক বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রীকে আমি ধরছি। প্রধানমন্ত্রীর ফের বলেন, কে বলেছে সিন্ডিকেটে হাত দেওয়া যাবে না?
ব্রিকসের সদস্য পদ না পাওয়া নিয়ে আরেক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ব্রিকসের সদস্য পদ পাওয়া নিয়ে বাংলাদেশের কোনো চিন্তা ছিল না। তিনি বলেন, এ কারণে সদস্য হওয়ার চেষ্টাও করিনি। চাইলে পাবো না, সে অবস্থাটা আর নেই। কিন্তু প্রত্যেক কাজের একটা পদ্ধতি আছে। একটা নিয়ম আছে। আমরা সেটা মেনেই চলি।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসার আমন্ত্রণে ২২-২৪ আগস্ট জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন। সম্মেলনে শেষে রোববার তিনি দেশে ফিরেছেন।