রোববার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

কাঁদলেন বিদায়ী প্রধান বিচারপতি

আপডেট : ৩১ আগস্ট ২০২৩, ১৪:২৭

দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর শেষ কর্মদিবস আজ। অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষে তাকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। এ সময় আইনজীবীদের প্রতি দীর্ঘ বক্তব্যও দিয়েছেন তিনি। বক্তব্যের এক পর্যায়ে বাবা-মায়ের স্মৃতিচারণ ও বিচার বিভাগ ছেড়ে যাওয়ার কথা ভেবে কেঁদেছেন প্রধান বিচারপতি।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) প্রধান বিচারপতিকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় এজলাস কক্ষে আবেগঘন দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। সেখানে থাকা হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর মেয়ে, নাতি ও অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনকেও কাঁদতে দেখা গেছে।

এ সময় স্মৃতিচারণ করে বিদায়ী প্রধান বিচারপতি বলেন, এখানে আমার ৪৩ বছরের পদচারণা আজ থেকে স্মৃতি হয়ে থাকবে। আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের মহাশক্তিতে বিশ্বাস করি, তিনি এই পবিত্র বিচারালয়, বিচারকগণ, আইনজীবীগণ, বিচারালয়ের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের রক্ষা ও সঠিক পথে চলার তওফিক দান করবেন। আমার কর্মকালীন সময়ে বিচারকবৃন্দ, আইনজীবীবৃন্দ, আইন, বিচার এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, অর্থ, জনপ্রশাসন, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়সহ এবং সুপ্রীম কোর্ট রেজিষ্ট্রির প্রত্যেক কর্মকর্তা এবং কর্মচারী এবং সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা যে সহায়তা দিয়েছেন, তা আমি কৃতজ্ঞতার সাথে সারাজীবন মনে রাখবো।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা যোগ দেন। অনুষ্ঠানে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি মোমতাজউদ্দিন ফকির প্রধান বিচারপতির কর্মময় জীবনের নানা দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শপথ বাক্য পাঠ করান। বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ১৯৫৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।

পড়ালেখা শেষে ১৯৮১ সালের ২১ আগস্ট জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ১৯৮৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে এবং ১৯৯৯ সালের ২৭ মে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন তিনি।

ইত্তেফাক/এসকে