বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলে-পর্যটকে মুখর সুন্দরবন

আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৫০

টানা তিন মাস বন্ধ থাকার পর শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে ফের জেলে ও পর্যটকে মুখর হচ্ছে সুন্দরবন। মূলত বন্যপ্রাণী ও মাছের প্রজনন মৌসুম হিসেবে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে মাছ শিকার এবং পর্যটন পরিবহন ও ভ্রমণের নিষেজ্ঞা দেয় কর্তৃপক্ষ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, দর্শনার্থীদের ভ্রমণ বন্ধ থাকায় তিন মাস ধরে বেকার সময় কাটিয়েছেন  ট্যুরিস্ট ব্যবসায়ীরা। এখানকার ৬০ ট্যুরিস্ট লঞ্চ ও সাড়ে ৪০০ ট্রলার-জালিবোটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার অলস সময় দিন পার করেছে। অপেক্ষা শেষে আজ থেকে দর্শনার্থীদের নিয়ে বনের পর্যটন স্পটগুলোতে যাচ্ছেন পর্যটনবাহী নৌযানগুলো।

দ্য সাউদার্ন ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস'র মালিক পর্যটন ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, শুক্রবার সকালে পর্যটক নিয়ে ৪টি লঞ্চ সুন্দরবনে প্রবেশ করেছে। আর ট্রলার ও জালিবোটেও পর্যটকেরা যাচ্ছেন করমজলে।

তবে তিন মাসে যে ক্ষতি হয়েছে তা কোনভাবেই কাটিয়ে উঠা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন এই ব্যবসায়ী। 

জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির মোংলা শাখা সভাপতি বিদ্যুৎ মন্ডল জানান, নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় শুক্রবার ভোর থেকেই বনবিভাগের কাছ থেকে পাস পারমিট নিয়ে জেলেরা সাগর ও সুন্দরবনে মাছ শিকারে যেতে শুরু করেছেন। 

বনবিভাগ জানায়, প্রজনন মৌসুমে পূর্ব সুন্দরবনের দুই লাখ ৪৩ হাজার হেক্টর আয়তনের বনের ৪২০টি নদী-খালে মাছ ধরা বন্ধ থাকে। এতে ইলিশসহ ৪৭৫ প্রজাতির মাছের প্রজনন নির্বিঘ্ন হয়েছে। প্রজনন মৌসুমের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ায় সুন্দরবনে ২৯১ প্রজাতির মাছের বংশবিস্তার বেড়েছে। আর বনের ৩১৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর প্রজননও বৃদ্ধি পেয়েছে।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, তিন মাসের নিষেধাজ্ঞায় বনের নদী-খালে মাছ ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ হয়েছে।

ইত্তেফাক/আরএজে