ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় প্রতিপক্ষের হামলায় যুবলীগ কর্মী আসাদুজ্জামান খুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাতে নিহতের ছেলে তাইব হাসান বাদী হয়ে ৩০ জনকে আসামি করে অভিযোগ করেন।
প্রধান আসামি মাহবুবুল আলম মনি। যিনি পৌরসভার মেয়র বিল্লাল হোসেন সরকারের জামাতা, জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা ৪টায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা হওয়ার আগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। মামলার পর বাকি আর কোনো আসামি গ্রেপ্তার করতে পারেনি থানা পুলিশ।
২৮ আগস্ট সোমবার রাতে তারাটি ইউনিয়নের বাসিন্দা আসাদুজ্জামান (৩০) প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন। রাতেই পুলিশ এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করে পরে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। এদিকে ৩১ আগস্ট বুধবার রাতে থানায় মামলা হওয়ার পর শুক্রবার রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ বাকি ২৭ জন আসামিদের একজনকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
অপরদিকে নিহত ব্যক্তি যুবলীগ কর্মী দাবি করে ভুক্তভোগী পরিবার নিয়ে ময়মনসিংহে সাংবাদিক সন্মেলন করেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই আকন্দ।
তিনি জানান, নিহত ব্যক্তি রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার এবং এর জন্য তিনি তার প্রতিপক্ষ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় এমপি ও সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন সরকারকে দোষারোপ করেন।
যদিও আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের পক্ষ থেকে নিহত ব্যক্তি তাদের দলীয় সমর্থক কি না তা জানা যায়নি। আনুষ্ঠানিকভাবে দলটির পক্ষ থেকেও কিছু জানানো হয়নি।
মুক্তাগাছা থানার ওসি আব্দুল মজিদ জানান, তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে মোবাইল প্রযুক্তির মাধ্যমে অবস্থান সনাক্ত করে অভিযান অব্যাহত আছে।