সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

'সন্তানের স্বীকৃতি ও স্বামীর বিচার' চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করলেন নারী চিকিৎসক

আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:৪৩

আগের দুই বিয়ের তথ্য গোপন করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের এক নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক বহুবিবাহের অভিযোগ তুলেছেন এক নারী চিকিৎসক, যিনি নিজেকে ওই প্রকৌশলীর তৃতীয় স্ত্রী বলে দাবি করছেন। প্রকৌশলী তার স্ত্রী ও সন্তানের পরিচয় অস্বীকার করে উল্টো নানা অপপ্রচার ও তার সম্মানহানি করছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। 

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে ওই নারী চিকিৎসক সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
 
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি রাশিয়া থেকে এমবিবিএস পাসের পর ২০১৯ সালে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ করি। ২০১৯ সালে পাবনায় থাকাকালে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তররের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে পরিচয় হয়। ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি আমরা বিবাহ করি। কিন্তু তার বিয়ের তথ্য গোপন করেন, যা আমি জানতাম না। পরে খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারি যে, তার আগেও দুইবার বিয়ে হয়েছে। প্রথম সংসারে স্ত্রী ও এক সন্তান এবং দ্বিতীয় সংসারে স্ত্রী ও দুইটি সন্তান রয়েছে। এ ঘটনায় আমি নওগাঁর মহাদেবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করি। পরে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবর একটি অভিযোগ দিই। ২০২২ সালের ২৭ মার্চ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করি। এখন তিনি নোয়াখালীতে কর্মরত।’

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘আমি সংসার করতে চাই, স্ত্রী হিসেবে নিজের স্বীকৃতি ও সন্তানের স্বীকৃতি চাই। তার নানামুখি অসম্মানজনক তৎপরতা বন্ধ চাই। মিথ্যাচার, সামাজিক সম্মানহানি থেকে রেহাই পেতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।’

এ ব্যাপারে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ওই নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি প্রতারণা করিনি। ফাঁদে পড়ে বিয়ে করেছিলাম। আমাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। তাই তার ভরণপোষণ কেন দিব? তাছাড়া তিনি বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয়টি নিজেই গোপন করছেন। আমার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে তিনি অভিযোগ করেছিলেন। সেসব অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে।’

ইত্তেফাক/এসজেড