এশিয়া কাপ বিষয়ে আরও এক বার হার হলো পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি)। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সিদ্ধান্ত মতো এশিয়া কাপের শেষ ম্যাচগুলো কলম্বোতেই অনুষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে শেষ পর্যন্ত সম্মত হয়েছে পিসিবি। যার অর্থ, সব জটিলতা কেটে গেছে। এশিয়া কাপের সুপার ফোরের শেষ ৫ ম্যাচ ও ফাইনাল কলম্বোতেই হবে।
এবারের এশিয়া কাপ এককভাবে আয়োজন করার কথা ছিল পাকিস্তানের। কিন্তু ‘আমরা পাকিস্তানে খেলতে যাব না’—এই দাবিতে ভারত বেঁকে বসে। এ নিয়ে অনেক জল ঘোলা হলেও শেষ পর্যন্ত জয় হয় ভারতেরই, হার হয় পাকিস্তানের। ভারতের জেদ মেনেই এশিয়া কাপটা হচ্ছে যৌথভাবে দুই দেশে-পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায়। মজার ব্যাপার হলো, মূল আয়োজক পাকিস্তানে ম্যাচ রাখা হয় মাত্র ৪টি, সহ-আয়োজক শ্রীলঙ্কায় রাখা হয় ফাইনালসহ ৯টি ম্যাচ! এসিসি একক সিদ্ধান্তেই টুর্নামেন্টের সূচি নির্ধারণ করে। এসিসির চেয়ারম্যান আবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহ। মানে জয় শাহের কারসাজিতেই প্রথম বার হারতে হয় পাকিস্তানকে।
পাকিস্তানকে আবারও হারতে হলো সেই জয় শাহ তথা এসিসির কাছে। শ্রীলঙ্কায় যে ৯টি ম্যাচ রাখা হয়, তার ৬টিরই ভেন্যু কলম্বো। সেই ৬ ম্যাচই আবার সুপার ফোরের শেষ ৫ ম্যাচ এবং ফাইনাল। কিন্তু শ্রীলঙ্কায় এখন বৃষ্টির মৌসুম। পাল্লেকেলেতে অনুষ্ঠিত গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই বৃষ্টি বাগড়া দিয়েছে। শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের ম্যাচে বৃষ্টি হানা দিলেও দ্রুত থেমে যাওয়ায় পুরো খেলাই হয়েছে। তবে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার হাইভোল্টেজ ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে ভেস্তে গেছে। এছাড়া ভারত-নেপালের ম্যাচটিও বৃষ্টির কারণে কার্টেল ওভারে হয়েছে। পাল্লেকেলের তুলনায় কলম্বোতে বৃষ্টির সম্ভাবনা আরও বেশি।
তাই কলম্বো থেকে এশিয়া কাপের বাকি ম্যাচগুলো অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার দাবি উঠেছিল। এক পর্যায়ে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি), পিসিবি, এসসিসহ সব বোর্ডই ম্যাচগুলো কলম্বো থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছিল। কিন্তু পলটি মেরে এসিসি ম্যাচগুলো কলম্বোতেই বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এসিসি এই সিদ্ধান্তটা নাকি নিয়েছে এককভাবে! এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে পিসিবি প্রথমে বেঁকে বসে। বিরোধী অবস্থানে গিয়ে পিসিবি এসিসিকে জরুরী সভা ডাকার আহ্বান জানায়। কিন্তু কোন জাদুর কাঠির স্পর্শে যেন সেই বিদ্রোহী অবস্থান থেকে সরে এসে পিসিবি এসিসির সিদ্ধান্তই মেনে নিয়েছে। ম্যাচগুলো কলম্বোতেই হওয়ার বিষয়েই সম্মত হয়েছে!
কলম্বোতে সুপার ফোরের বাকি ম্যাচগুলো হবে
৯ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ
১০ সেপ্টেম্বর ভারত-পাকিস্তান
১২ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা-ভারত
১৪ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান
১৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ-ভারত
১৭ সেপ্টেম্বর ফাইনাল