বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী-ইদগড় সড়কে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ফাটল ধরেছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকলেও ঝুঁকি নিয়েই গাড়িচালক ও স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তা ব্যবহার করছে।
বাইশারী-ইদগড় সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন যাত্রীবাহী নানা যানবাহন ছাড়াও মালবাহী ট্রাক ও রাবার বহনকারী ভারী যানবাহন কাভার্ডভ্যান চলাচল করে। সড়কের মাঝখানে অলির ঝিরি নামক স্থানে বন্যার কারণে সৃষ্টি বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। গর্তটি যে কোনো সময়ে ধসে পড়তে পারে।
বাইশারী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জাহাংগীর আলম বাহাদুর জানান, এই সড়ক দিয়ে পাহাড়ে উৎপাদিত সবজি ও রবিশস্য, ফলফলাদিসহ প্রতিমাসে প্রায় কোটি টাকার রাবার পণ্য রপ্তানি হয়। তাই জরুরিভিত্তিতে রাস্তাটি মেরামত না হলে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৮ কিলোমিটার সড়ক বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এলো জিইডি কর্তৃক গত ৩ বছর আগে সড়ক প্রশস্তকরণসহ কার্পেটিং ধারা উন্নয়ন করা হয়েছিল। কিন্তু গত আগস্ট মাসের টানা বর্ষণের ফলে সড়কের বেংডেবা, আমমুইল্লাকুম, করলিয়ামুরা, বৈদ্যাপাড়া, পানিস্যাঘোনা, রেনুরছড়া, ইদগড় উচ্চবিদ্যালয়ের পার্শ্বসহ বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।
বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আলম কোম্পানি জানান, বন্যায় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতির বিষয়টি তিনি অবগত রয়েছেন এবং বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বন্যার পরপরই তিনি অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়ে সড়কটি সরজমিনে পরিদর্শন করে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন। ইতিমধ্যে সড়কের যেখানে গর্ত হয়েছে সেখানে পাইলি, বল্লি, ড্রামশিট দিয়ে চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। তাছাড়া অচিরেই পূর্ণ মেরামতের জন্য কাজ শুরু করা হবে।