লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে প্রতিপক্ষের হামলা ও প্রাণনাশের ভয়ে পাঁচদিন ধরে শিক্ষার্থীসহ একটি পরিবার ঘরবন্দী অবস্থায় দিন পার করছে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর ভ্যানচালক শাহাজানের গোটা পরিবারই এখন ঘরবন্দী রয়েছেন। পরিবারের লোকজন বের হলেই ওঁৎ পেতে থাকা ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা হামলার জন্য তাড়া করে চলেছে। উপজেলার বামনী ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের মৃধা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটছে।
ভুক্তভোগী শাহাজান বলেন, ‘আমরা বের হলেই মেরে ফেলবে। তাই ঘর থেকে বের হতে পারছি না। হুমকিতে আমার ছোট ছেলেকেও মাদরাসায় পাঠাতে পারছি না। আমাদের বাজার করে দিচ্ছে প্রতিবেশীরা। থানায় অভিযোগ করেছি। কিন্তু তারা পুলিশকে ভয় পায় না। চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ কাউকেই ভয় পায় না। প্রাণভয়ে রয়েছি।’
শুক্রবার সকালে সরেজমিনে জানা গেছে, শাহাজান মৃধার সঙ্গে সৎ ভাই মুক্তার ও ছলেমান গংয়ের সঙ্গে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এরই জেরে গত সোমবার মুক্তার ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে শাহাজাহান মৃধারর বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা তার স্ত্রী, ও মা-বাবাকে বেদম মারধর করে। তারা বলে যান বাড়াবাড়ি করলে জানে মেরে ফেলা হবে। এ বিষয়ে শাহাজান ইউপি চেয়ারম্যানে কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের পর থেকেই হুমকিতে ঘরবন্দি হয়ে পাঁচদিন পার করছে তারা।
স্থানীয়রা জানান, ভ্যানচালক শাহাজানের পরিবারের লোকজনকে মারধর করার পর তারা এখন ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। হামলাকারীরা স্থানীয়ভাবে বেশ প্রভাবশালী। ফলে মারধরের সময় ভয়ে আশপাশের কেউই এগিয়ে আসেননি।
অভিযুক্ত মুক্তার সাংবাদিকের সামনে শাহাজাহানকে কুপিয়ে হত্যার হুমকি দেন। বিষয়টি জানতে চাইলে সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউপি সদস্য হাসান বলেন, ‘ঘটনাটি আমি জানি। শাহাজানের পরিবার অসহায়। তাই তাদের বিষয়ে নিয়ে মীমাংসা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সৎ ভাইরা কথা শোনেনি। তারা অনেক বেপরোয়া। কিছুদিন পর পরই তাদের এমন অভিযোগ শোনা যায়।’
রায়পুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর বলেন, ‘শাহজাহানকে উদ্ধার করা হয়েছে। সম্পত্তি বণ্টনকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ ঘটনায় শাহাজাহান লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’