রোববার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১৬ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

মাদারীপুরে জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩:৫৮

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খানের বিরুদ্ধে জমিজমা সংক্রান্ত মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাদারীপুর অর্পিত প্রত্যাবর্তন ট্রাইব্যুনালে এই মামলা করেন মাদারীপুর শহরের ১ নম্বর শকুনী এলাকার খালেদা ইয়াসমিন নামে এক নারী।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলা বাদীপক্ষের আইনজীবী প্রদীপ চন্দ্র সরকার।

মামলার বিবরণে জানা যায়, মামলার বাদীর ১০ শতাংশ জমি অর্পিত সম্পত্তির ‘ক’ তফসিলভুক্ত হয়ে গেজেট প্রকাশ হয়। এই সম্পত্তি অবমুক্তির জন্য অর্পিত প্রত্যাবর্তন ট্রাইবুনালে খালেদা ইয়াসমিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এতে ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি বাদীর অনুকূলে রায় হয়। পরে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে আপিল করা হয়। চলতি বছরের ১৭ মে আপিল নামঞ্জুর করে আগের আদেশ বহাল রাখে ও আদেশ বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করেন।

এছাড়া, মাদারীপুর অর্পিত প্রত্যাবর্তন ট্রাইবুনাল থেকে চলতি বছরের ১৩ জুন ৫৪ নং স্মারকে রায় ডিক্রি বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক ট্রাইবুনালের রায় ও ডিক্রি অনুযায়ী জমি অর্পিত তালিকা থেকে অবমুক্তির কোনো পদক্ষেপ নেননি। পরে বাদীর পক্ষ থেকে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। এরপরও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেননি তিনি।

মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ট্রাইবুনালের ডিক্রি বাস্তবায়ন না করা সুস্পষ্টভাবে আইনের লঙ্ঘন ও আদালত অবমাননা আইন, ২০১৩-এর ২ ধারার ৬ ও ৯ নম্বর উপধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী প্রদীপ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘অর্পিত প্রত্যাবর্তন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেছেন তিনি (আমার মক্কেল)। মামলায় আমার বাদী ডিক্রি পান। এরপর ডিক্রি বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসক কোনো পদক্ষেপ নেননি। ডিক্রি বাস্তবায়নের জন্য লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হলে তিনি তার কোনো জবাব দেননি। তাই তার বিরুদ্ধে গত ৩১ আগস্ট আদালত অবমামনার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অর্পিত প্রত্যাবর্তন ট্রাইবুনাল ও মাদারীপুর যুগ্ম জেলা জজ-১ আদালতের বিচারক কোহিনুর আরজুমান জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।’

এই আইনজীবী আরও বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ল্যান্ড সার্ভে (ভূমি জরিপ) ট্রাইবুনালে আরও একাধিক মামলা হয়েছে।’

এসব বিষয়ে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খানের ফোন ও ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও যোগাযোগ করতে পারেননি এই সংবাদদাতা।

ইত্তেফাক/এইচএ