চোখ কচলেও বিশ্বাস করতে পারছেন অনেকেই, ফুটবলে জাপান নাকি জার্মানিকে হারিয়েছে। ঘরের মাঠে জাপানের বিপক্ষে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে চার বারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন জার্মানি। জার্মানি হচ্ছে বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম পাওয়ার হাউজ। সেই জার্মান দলের বর্তমান অবস্থা এই মুহূর্তে এতটাই খারাপ যে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কলম্বিয়া, পোল্যান্ডের পর টানা তিন ম্যাচ হারল জার্মানরা।
এই অবস্থায় আর কি করেই বা কোচের চাকরি থাকে। জার্মান ফুটবল সংস্থা জাপানের কাছে হারের পরই দীর্ঘদিনের কোচ হ্যান্সি ফ্লিককে চাকরি থেকে বরখাস্ত হতে হয়েছে। ১৯২৬ সালে জার্মান জাতীয় দলের প্রধান কোচের পদ সৃষ্টি করা হয়েছিল। যে জার্মান কোচ তিন বছর আগেই বায়ার্ন মিউনিখকে ট্রেবলসহ সম্ভাব্য সমস্ত শিরোপা জিতিয়েছিলেন হ্যান্সি ফ্লিক।
জোয়াকিম লোর যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। জার্মানি জাতীয় দলের কোচ হয়ে একের পর এক প্রত্যাশা পূরণ করেছেন তিনি। সেই জার্মান জাতীয় দলের পারফরম্যান্স একেবারেই তলানিতে ঠেকেছে। রাগ-ক্ষোভে চুল ছিঁড়ছিল দর্শক। চাপ বাড়ছিল ফেডারেশনের ওপর। ক্লাবের খেলা আর জাতীয় দলের খেলার চাপ যে এক না, সেটা বুঝতে পারছেন কোচ হ্যান্সি ফ্লিক।
তার অধীনে ফ্লিকের ক্লাব দল বায়ার্ন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠলেও জাতীয় দলের চিত্র কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা। জাপানের কাছে হারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চাকরি হারিয়েছেন কোচ হ্যান্সি ফ্লিক। ৯৭ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার কোন কোচকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করল জার্মান ফুটবল সংস্থা। ফ্লিকের জায়গায় আপাতত অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব পালন করবেন ক্রীড়া পরিচালক রুডি ফোলার। ৬৩ বছর বয়সী ফোলারের অধীনেই ২০০২ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছিল জার্মানি।