শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

একটু বৃষ্টিতেই শান্তিগঞ্জের বাজারে জলাবদ্ধতা

কর্দমাক্ত পথে দুর্ভোগ, ত্যাক্তবিরক্ত ক্রেতা-বিক্রেতারা

আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪:৩৭

শান্তিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বৃষ্টি হলেই জমে থাকি পানি। ভালোভাবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এই কর্দমাক্ত পথেই যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের। এর সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীদের ওপর। ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। কর্দমাক্ত পথের কারণে ক্রেতারাও ত্যাক্তবিরক্ত।

সরেজমিনে গিয়ে এই সংবাদদাতা জানতে পারেন যে, শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া বাজার, গনিগঞ্জ বাজার, নোয়াখালী বাজার, শান্তিগঞ্জ বাজার, পাগলা বাজার, আক্তারপাড়া মিনাবাজার, ভমবমি বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজারের অবস্থা খুবই শোচনীয়। একটানা বৃষ্টিপাত হলে এসব বাজারের বেশির ভাগ গলিতে পানি জমে কর্দমাক্ত পথ সৃষ্টি হয়।

‘আমাদের বাজারের আগের গলিতেই দোকানপাট, মাছ-সবজির বাজার বেশি। আমার দোকানের সামনেই একটি বড় গর্ত। বেশির ভাগ সময় এখানে জলাবদ্ধ থাকে। দুর্গন্ধ ছড়ায়। এডিস মশার এ জায়গা থেকে উৎপত্তির শঙ্কা রয়েছে। দ্রুত এই জায়গার সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি’
- আবদুল জলিল, স্থানীয় ব্যবসায়ী

এদিকে উপজেলার গনিগঞ্জ বাজারের প্রধান গলির অবস্থাও অত্যন্ত শোচনীয়। গলির মেসার্স আসমা মেডিকেল সেন্টারের সামনে থেকে নদীর পাড় পর্যন্ত কর্দমাক্ত পথ চলতে গিয়ে পথচারী সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন। বিশেষ করে স্থানীয় কাপড় ব্যবসায়ী আবদুল জলিলের দোকানের সামনের অংশে প্রচুর কাদা সৃষ্টি হয়ে থাকে। এখানে বড় একটি গর্ত থাকায় পানি জমে থাকে। এলাকার মাছের বাজারের পানিও এসে জমা হওয়ায় এই গর্ত থেকে সব সময় দুর্গন্ধ ছড়ায়।

স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতার কারণে এডিস মশার উপদ্রব দেখা দিতে পারে।

সেই সঙ্গে পাথারিয়া বাজারেও একই আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রধান প্রধান গলিতেও কাদা জমে থাকে। শান্তিগঞ্জ বাজারের দক্ষিণ গলিতেও বৃষ্টি হলে পানি ও কাদা জমে থাকে। যদিও এই বাজারে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াতের সমস্যার সমাধান হচ্ছে না পাগলা বাজারে। বৃষ্টি হলেই এর প্রধান গলিতে কাদা জমে। পাশাপাশি ভমবমি বাজারের অবস্থাও একই।

এ প্রসঙ্গে ক্রেতা জিয়াউল হক জিয়া বলেন, ‘উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার হচ্ছে পাথারিয়া বাজার। অথচ সামান্য বৃষ্টিপাত হলেই বাজারের অবস্থা নাজুক হয়ে যায়। বাজার করতে এলে পথ কর্দমাক্ত থাকায় হাঁটা মুশকিল হয়ে পড়ে। আমাদের দাবি, অতি দ্রুত পাথারিয়া বাজারের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার যেন উন্নতি করা হয়।’

গনিগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আবদুল জলিল বলেন, ‘আমাদের বাজারের আগের গলিতেই দোকানপাট, মাছ-সবজির বাজার বেশি। আমার দোকানের সামনেই একটি বড় গর্ত। বেশির ভাগ সময় এখানে জলাবদ্ধ থাকে। দুর্গন্ধ ছড়ায়। এডিস মশার এ জায়গা থেকে উৎপত্তির শঙ্কা রয়েছে। দ্রুত এই জায়গার সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।’

গনিগঞ্জ বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বাজারের অবস্থা শোচনীয়। বৃষ্টি হলে পানি নিষ্কাশন হতে দেরি হওয়ায় পথ কর্দমাক্ত হয়ে যায়। বাজার পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যে ভাঙা ইট এনে দিলেও তা অপ্রতুল। সরকারিভাবে সংস্কার করতে হবে। আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে আবেদন করেছি। কিন্তু সাড়া পাচ্ছি না।’

‘উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার হচ্ছে পাথারিয়া বাজার। অথচ সামান্য বৃষ্টিপাত হলেই বাজারের অবস্থা নাজুক হয়ে যায়। বাজার করতে এলে পথ কর্দমাক্ত থাকায় হাঁটা মুশকিল হয়ে পড়ে। আমাদের দাবি, অতি দ্রুত পাথারিয়া বাজারের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার যেনো উন্নতি করা হয়’
- জিয়াউল হক জিয়া, স্থানীয় ব্যবসায়ী

শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনোয়ার উজ্ জামান বলেন, ‘বাজারগুলোতে ড্রেন নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা চলমান আছে। আমরা বাজারগুলোতে রাস্তা নির্মাণ করে দিচ্ছি। পাথারিয়া, আক্তাপাড়াসহ অন্যান্য বাজারেও কাজ করছি।’

ইত্তেফাক/এইচএ