রোববার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১৬ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

‘তারার ত্রয়োদশী নাট্যোৎসব’ যেন নাট্যপ্রেমীদের মিলনমেলা

আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৪১

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির থিয়েটার ক্লাব ‘অল স্টারস ড্যাফোডিল’-এর ১৩ বছরপূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হলো ‘তারার ত্রয়োদশী নাট্যোৎসব’। গত ৯ সেপ্টেম্বর ড্যাফোডিলের বনোমায়া প্রাঙ্গণে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্য ও থিয়েটার দলের অংশগ্রহণে সারাদিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় এই নাট্যোৎসব। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট নাট্যকার ও অভিনেতা মামুনুর রশীদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিলের স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান রাজু, নাট্যব্যাক্তিত্ব রবিউল ইসলাম শশী, অল স্টারস ড্যাফোডিল’র মডারেটর অমিত চক্রবর্তীসহ প্রমুখ। এই নাট্যোৎসবের মিডিয়া পার্টনার ছিলো ইত্তেফাক।

কবিতা আবৃত্তি, সংগীত ও নৃত্যকলায় সারাদিন মঞ্চ মাতিয়ে রাখে অল স্টারস’র সদস্যগণ। বিকাল থেকে শুরু হয় মঞ্চনাটক। সেখানে অংশ নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কালচারাল ক্লাব, জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার, তিতুমীর কলেজ নাট্যদল, বিইউপি লিটারেচার এন্ড ড্রামা ক্লাব, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি কালচারাল ক্লাব, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি সাংস্কৃতিক সংগঠন, থিয়েটার ইউল্যাব, সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও অল স্টারস ড্যাফোডিলের থিয়েটার সদস্যরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অভিনেতা মামুনুর রশীদ বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি সাংস্কৃতিক রাষ্ট্র। ভাষার জন্য আমরা লড়াই করেছি, সংস্কৃতির জন্য লড়েছি। আমরা এক মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এই রাষ্ট্র পেয়েছি এবং এই অভ্যুত্থানের পেছনেও রয়েছে সংস্কৃতির ভূমিকা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হলো সেই সংস্কৃতির যে শক্তি, তাকে আমরা হারিয়ে ফেলেছি। সংস্কৃতির শক্তিকে জাগিয়ে তুলতে তরুণ প্রজন্মকে কাজ করতে হবে।’

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শৈল্পিক বোধ ও মুক্তচিন্তার প্রসার ঘটাতে কাজ করে যাচ্ছে অল স্টারস ড্যাফোডিল। ২০১০ সালে ‘গাহি সাম্যের গান’ নাটক মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হয় তাদের। এরপর থেকে ১৩ বছরে প্রায় ২০টি নাটক প্রযোজনা করেছে। তাদের বেশ কয়েকটি মঞ্চনাটক দেশের নাট্যপ্রমীদের মাঝে দারুণ সাড়া ফেলেছে। এর মধ্যে বনমায়া, ডেংগু সাঙ্গলিলা, স্বত্বা, সান্তাল হুলে, একটি ভাষার মুক্তি উল্লেখযোগ্য। অল স্টারস’র সভাপতি তৌহিদুর রহমান নিশান বলেন, ‘অল স্টারস ড্যাফোডিলের ১৩ বছর পূর্ণ হয়েছে। আমাদের থিয়েটার দলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরেও রয়েছে বেশ সুখ্যাতি। এই জনপ্রিয় হয়ে উঠার পেছনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে আমাদের মৌলিকত্ব।’

ইত্তেফাক/এসটিএম