রোববার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১৬ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

৪ বছরেও পুনর্নির্মাণ হয়নি বন্যায় ভেঙে যাওয়া রাণীনগরের রিং কালভার্ট

আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৩৭

সংস্কারের অভাবে নওগাঁর রাণীনগরে স্থানীয় জনসাধারণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রায় ৪ বছর আগে বন্যার কারণে গহেলাপুর, ঝিনা ও লোহাছড়িয়া রাস্তার সংযোগস্থলের রিং কালভার্টটি ভেঙে যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, রিং কালভার্টটি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে এই ভাঙা অংশ দিয়ে পদব্রজে কিংবা সাইকেল নিয়ে কোনোমতে পার হওয়া গেলেও ভ্যানসহ অন্যান্য গাড়ি চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে প্রতিনিয়তই আকনা, বাঁশবাড়িয়া, ঝিনা, বিজয়কান্দি, বড়বড়িয়াসহ প্রায় ২০ গ্রামের বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। বিশেষ করে এ অঞ্চলের কৃষকদের ধানের হাটে ধান নিয়ে যেতে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বর্তমানে ২০-২৫ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। অথচ এই রিং কালভার্ট মেরামত করা হলে মাত্র ৫ কিলোমিটার রাস্তা পারি দিয়ে ধানের হাটে চলাচল করা সম্ভব। এতে করে কৃষিপণ্য বিপণন করতে লোকসান হিসেবে অতিরিক্ত খরচও গুনতে হচ্ছে ২০টি গ্রামের কৃষকদের।

ঝিনা গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন শহরের সুবিধা এখনোও গ্রামের মানুষরা পাচ্ছে না। চারবছর আগে এই সামান্য রিং কালভার্টটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মেরামত না করায় এই রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দিনের বেলায় ঝুঁকি নিয়ে কোন মতে চলাচল করলেও রাতের অন্ধকারে এই ভাঙা স্থানটি পারাপার হতে অনেক মানুষই নিচে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আছমা খাতুন বলেন আমাদের ছেলেমেয়েদের এই রাস্তা দিয়ে গহেলাপুর স্কুলে যেতে হয়। ভাঙা অংশটি চারবছরেও মেরামত না করায় প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করতে হয়। আবার বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটির ইটের ওপর শেওলা জমে যাওয়ার কারণে হাঁটার সময় পিছলে পড়েও অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। তাই এই ভাঙা রিং কালভার্টটি দ্রুত মেরামতসহ পুরো রাস্তাটি ইটের পরিবর্তে পাকাকরণ করার জন্য উন্নয়নবান্ধব সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইসমাইল হোসেন মুঠোফোনে এই সংবাদদাতাকে জানান বিষয়টি আমার জানা ছিল না। স্থানটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে দ্রুত ওই স্থানে আরেকটি রিং কালভার্ট কিংবা অন্য কোনো কালভার্ট নির্মাণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আমি লিখিতভাবে জানাবো।

ইত্তেফাক/এইচএ