চলমান এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। নিয়মরক্ষার ম্যাচে শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কলম্বোর প্রেমাদাসায় স্টেডিয়ামে ভারতের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। শক্তিমত্তার বিচারে ভারত এগিয়ে থাকলেও বর্তমান সময়ে দুই দলের দ্বৈরথে বাড়তি উন্মাদনার জন্ম দিয়েছে।
বিশেষ করে ২০১৬ এবং ২০১৮ এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারতের কাছে বাংলাদেশের হার। ২০১৫ বিশ্বকাপে বিতর্ক এবং ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ জয়। যার ফলে দর্শকদের মাঝে যোগ হয়েছে বাড়তি উন্মাদনা। এশিয়া কাপের সুপার ফোরের নিয়মরক্ষার ম্যাচ হলেও মর্যাদার লড়াইয়ে কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নয়।
ভারতের বিপক্ষে ৪০তম সাক্ষাৎ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের। আগের ৩৯ বারের দেখায় বাংলাদেশের জয় ৭ বার। ভারতের জয় ৩১ বার এবং একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। এশিয়া কাপে ওয়ানডে এবং টি-টুয়েন্টি সংস্করণে দেখা হয়েছে ১৪ বার। এর মাঝে শুধু জয় এসেছিল একবার। ২০১২ সালে ঘরের মাঠে শচীন টেন্ডুলকারের শততম শতকের ম্যাচে।
দুই দলের মুখোমুখি সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভারতের দখলে। ভারতের দলীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ ৪০৯। আর বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ ৩০৭। সর্বোচ্চ রানের ব্যবধানের জয়ে এগিয়ে ভারত। ২২৭ রানে জয় পেয়েছে তারা। আর বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জয় ৭৯ রানে।
ব্যক্তিগত রেকর্ডের দিক থেকেও এগিয়ে ভারত। ব্যাটারদের মাঝে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভারতের উইকেটরক্ষক ব্যাটার ইশান কিষানের। তার সর্বোচ্চ সংগ্রহ ২১০ রান। বাংলাদেশেরও সর্বোচ্চ সংগ্রহ অবশ্য উইকেটরক্ষক ব্যাটার লিটন কুমার দাশের। তার সর্বোচ্চ সংগ্রহ ১২১। ২০১৮ এশিয়া কাপের ফাইনালে এই দারুণ ইনিংস খেলছিলেন লিটন।
বাংলাদেশের হয়ে ১টি করে শতক করেন মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, অলক কাপালি এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি শতকের মালিক ভারতীয় ব্যাটার বিরাট কোহলির। টাইগার বোলারদের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৮০৭ রান করেছেন তিনি। বিপরীতে ভারতের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৬৭১ রান সংগ্রাহক সাকিব আল হাসান।
তবে সবচেয়ে বেশি উইকেটের তালিকায় অবশ্য বাংলাদেশের আধিপত্য। ভারতের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ২৮ উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। সেরা চারে নেই কোন ভারতীয়। তবে পাঁচ নাম্বারে অবশ্য পাওয়া যাবে অজিত আগারকারের নাম।