শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৭ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

‘ঘাটতি থাকার কথা নয়, এক অদৃশ্য হাত আলুর বাজার অস্থির করেছে’

আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৭:২০

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, এ বছর যে পরিমাণ আলু উৎপাদন হয়েছে তাতে ঘাটতি থাকার কথা নয়। একটি অদৃশ্য হাত আলুর বাজার অস্থির করে তুলেছে। 

শনিবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুরে রিভারভিউ কোল্ড স্টোরেজ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, কোল্ড স্টোরে সংরক্ষণকারী আলু ব্যবসায়ীরা এটি শুরু করেছে। তারপর পর্যায়ক্রমে ধাপে ধাপে দাম বৃদ্ধি করে খুচরা বাজারে ৫০ টাকা কেজি হয়েছে।। কয়েকদিনের মধ্যে বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বেধে দেওয়া দাম অনুযায়ী ভোক্তা পর্যায়ে আলু দাম বাস্তবায়ন করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ চলছে। 

তিনি বলেন, বিক্রির ক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতাদের রশিদ ব্যবহার করতে হবে। পাকা রশিদ না থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামীতে আমরা রংপুর, নীলফামারী, বগুড়াতে পরিদর্শন করবো।

ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, হিমাগারে ১০ হাজার বস্তা আলু সংরক্ষণ করেছেন পাকা রশিদ ছাড়া। মোবাইলে দাম নির্ধারণ করে আলু বিক্রি করছেন রসরাজ বাবু নামের এক আলু ব্যবসায়ী। জিজ্ঞাসাবাদে আলু ব্যবসায়ী রসরাজ বাবুর কথায় অসঙ্গতি থাকায় হিমাগারে সংরক্ষিত আলু হেফাজতে নিয়ে ২৭ টাকা মূল্যে বিক্রি করে দাম বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে দায়িত্ব দেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর রিপন,পুলিশ সুপার মো. আসলাম খান, মুন্সীগঞ্জ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।

ইত্তেফাক/এবি