আইফোন ১৪ প্রো মডেলটি মানুষের কাছে বিরাট জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এবার এই নতুন সিরিজ আসায়, অনেকের মনেই এই প্রশ্ন এসেছে, আগেরটি থেকে কী কী পরিবর্তন করা হয়েছে নতুন আইফোন ১৫ প্রো মডেলে। চলুন জেনে নেওয়া যাক—
অ্যাপল আইফোন ১৫ সিরিজে এক গুচ্ছ পরিবর্তন এনেছে। আইফোন প্রো মডেলটিতে চিপসেট থেকে বিল্ড কোয়ালিটি, সবকিছুতেই পরিবর্তন করা হয়েছে। এর আগে আইফোন ১৪ প্রো মডেলটি মানুষের কাছে বিরাট জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এবার এই নতুন সিরিজ আসায়, অনেকের মনেই এই প্রশ্ন এসেছে, আগেরটি থেকে কী কী পরিবর্তন করা হয়েছে নতুন আইফোন ১৫ প্রো মডেলে।
আইফোন ১৫ প্রো বনাম আইফোন ১৪ প্রো: কার চার্জিং পোর্ট কেমন?
কোম্পানি একটি লাইটনিং কানেকটর-সহ আইফোন ১৪ প্রো মডেলটি চালু করেছে। অ্যাপল ২০১২ সালে আইফোন ৫-এ এই প্রযুক্তিটি চালু করেছিল। তবে নতুন আইফোন সিরিজে নতুন চার্জিং পোর্ট ইউএসবি-সি দেওয়া হয়েছে। ইউএসবি-সি পোর্টের সঙ্গে, প্রো মডেলটি এসএসডি এবং ফ্ল্যাশ ড্রাইভ দেওয়া হয়েছে। এতে ফাইলগুলো দ্রুত কপি করতে পারবেন।
চিপসেট ও বিল্ড কোয়ালিটি
আইফোন ১৪ প্রো মডেলটিতে কোম্পানি এ১৬ বায়োনিক চিপসেট দিয়েছে। তবে এবার নতুন আইফোন সিরিজে কোম্পানি প্রো মডেলে লেটেস্ট এ১৭ প্রো চিপসেট এনেছে। এই নতুন চিপসেটটি ১০ শতাংশ দ্রুত কাজ করবে বলে কোম্পানির দাবি। কোম্পানিটি স্টেইনলেস স্টিল-সহ আইফোন ১৪ প্রো মডেলটি চালু করেছে। অন্যদিকে, আইফোন ১৫ প্রো এবার টাইটানিয়াম ফ্রেম ডিজাইন দেওয়া হয়েছে। এটি স্টেইনলেস স্টিলের চেয়ে শক্তিশালী। এমনকি এটি ফোনটিকে আরও বেশি হালকা করে।
স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্ট ও ক্যামেরা
কোম্পানি আইফোন ১৪ প্রো এবং প্রো ম্যাক্স মডেলগুলি চারটি স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্টে চালু করেছে। এবার, আইফোন ১৫ প্রো-তে চারটি স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্ট পেয়ে যাবেন। কিন্তু প্রো ম্যাক্স-এ ১২৮জিবি স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্ট নেই।
ক্যামেরার কথা বললে, আইফোন ১৪ প্রো-তে ৪৮ মেগাপিক্সেল প্রধান ক্যামেরা, যাতে ৪এক্স রেজোলিউশন সাপোর্ট করে। এবার আইফোন ১৫ প্রো-এর প্রো মডেলে ৪৮ মেগাপিক্সেল প্রধান ক্যামেরা সহ ২৪ মিমি, ২৮মিমি, ৩৫ মিমি, ৪৮ মিমি ফোকাল লেন্সের সাপোর্ট রয়েছে। নতুন আইফোন প্রো মডেলে ৫এক্স অপটিক্যাল জুম লেন্স দেওয়া হয়েছে।