ছয় দল নিয়ে চলমান এশিয়া কাপের ১৬তম আসরের পর্দা নামতে যাচ্ছে আজ। ১৩ বছর পর এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত-শ্রীলঙ্কা। রবিবার কলম্বোর আর প্রেমাদাসা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বেলা সাড়ে ৩টা থেকে শুরু হবে এই ম্যাচটি। মহাদেশীয় এ টুর্নামেন্টটিতে এ পর্যন্ত সব থেকে বেশি ট্রফি জেতা দল ভারত (৭) তার পরেই লঙ্কানদের অবস্থান (৬)। এছাড়া সব শেষ গত বছর টি-টোয়েন্টি সংস্করণে আয়োজিত হওয়া এশিয়া কাপ জয়ী দলও শ্রীলঙ্কা। তবে ওয়ানডে ফরম্যাটে ২০১৮ সালে আয়োজিত হওয়া টুর্নামেন্টটির শিরোপা জিতেছিল ভারত। তাই বলা চলে আজকের ম্যাচটি হবে মুকুট ফিরিয়ে নেওয়ার কিংবা দখলে রাখার লড়াই।
চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই উড়ছে ভারত। গ্রুপ পর্বের বৃষ্টি বাঁধায় পাকিস্তানের বিপক্ষের ম্যাচটি ভেস্তে গেলেও নেপালকে হারিয়ে সুপার ফোরে উঠে আসে ভারত। এ পর্বে ফের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়ে বড় জয় পায় রোহিত শর্মারা। এরপর সহআয়োজন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও জয় পায় তারা, তাতেই এবারের আসরের ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলে টিম ইন্ডিয়া। তবে এ পর্বের নিয়ম রক্ষার শেষ ম্যাচে এসে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬ রানে হেরে যায় ভারত। কিন্তু এদিন ভারত বিশ্রাম দিয়েছিল নিয়মিত দলের পাঁচ খেলোয়াড়কে।
অন্যদিকে খেলোয়াড়দের চোটের কারণে আসরের শুরু থেকেই ভুগছিল শ্রীলঙ্কা। দুশমন্ত চামিরা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার মতো দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের ছাড়াই শিরোপা রক্ষার মিশনে নেমেছিল লঙ্কানরা। আসরের শুরুতে তাদের দুর্বল দল মনে হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের শক্তি সামর্থ্য সম্পর্কে জানান দিয়েছে তারা। চলমান আসরে বাংলাদেশকে হারিয়েছে দুই বার, এছাড়া আফগানিস্তান ও পাকিস্তানকে হারিয়েছে একবার করে। তবে সুপার ফোরে ভারতের মুখোমুখি হয়ে ৪১ রানে হারতে হয়েছিল তাদের। এবার আবার সেই ভারতের বিপক্ষেই ফাইনালে নামতে হবে।
এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ভারত এবং শ্রীলঙ্কা মুখোমুখি হয়েছে ১১ বার। তার মধ্যে ভারত পাঁচ বার এবং শ্রীলঙ্কা চার বার জিতেছে। ভারতের মাটিতে ২০১১ সালের বিশ্বকাপেও এই দুই দেশ মুখোমুখি হয়েছিল। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বাধীন সেই দল ট্রফি জেতে। এশিয়া কাপেও পরিসংখ্যানে সামান্য এগিয়ে রয়েছে ভারতই। ২০১০ সালের পর আবার এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-শ্রীলঙ্কা। সে বার ডাম্বুলায় ভারত ৮১ রানে জিতেছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
এদিকে ফাইনাল ম্যাচের আগে গতকাল দুই দলের স্কোয়াডেই নতুন খেলোয়াড় যুক্ত হয়েছে। লঙ্কানদের স্কোয়াড থেকে ছিটকে গেছেন দলের গুরুত্বপূর্ণ স্পিনার মাহিশ থিকশাকা। চলমান এশিয়া কাপেও বল হাতে ছন্দে ছিলেন তিনি। পাঁচ ম্যাচে নিয়েছেন ৮ উইকেট। তবে সবশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষের ম্যাচে ফিল্ডিংয়ের সময় ডান পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়েন থিকশানা। তার পরিবর্তে দলে যুক্ত করা হয়েছে অফব্রেক বোলার সাহান আরাচিগেকে। এছাড়া ভারতের স্কোয়াডেও দেখা দেয় চোট সমস্যা। বাংলাদেশের বিপক্ষে শুক্রবার সুপার ফোরের ম্যাচে ফিল্ডারের ছোড়া বল অক্ষর প্যাটেলের কবজিতে আঘাত হানে। এ সময় জায়গাটি কিছুটা ফুলে যায়। তার ব্যাকআপে স্কোয়াডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ওয়াশিংটন সুন্দর।