রোববার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১৬ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

কলেজছাত্রী ধর্ষণ মামলায় জামিন পেলেন খন্দকার মুশতাক

আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫:৪৭

রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ওই প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সাবেক দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন। এ সময় আদালতে মুশতাকের সঙ্গে সেই ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীন শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন। ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মো. মকলেছুর রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

এদিন মুশতাক ওই ছাত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে উপস্থিত হন। এরপর আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে স্থায়ী জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার এ মামলায় স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর মুশতাক ও সেই ছাত্রী চলে যান।

এর আগে ১ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ছাত্রীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আদালত গুলশান থানার ওসিকে  বাদীর জবানবন্দি নিয়ে অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন। এ মামলার অপর আসামি হলেন অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী।

পরে উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন পান অধ্যক্ষ ফাওজিয়া এবং ১৭ আগস্ট মুশতাককে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট।

মামলায় বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসত এবং ভিকটিমকে ক্লাস থেকে প্রিন্সিপালের কক্ষে ডেকে আনত। খোঁজখবর নেওয়ার নামে আসামি ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করত। কিছুদিন পর আসামি মুশতাক ভুক্তভোগীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় ভুক্তভোগীকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেয়। এ বিষয়ে অধ্যক্ষের কাছে প্রতিকার চাইতে গেলেও কোনো সহযোগিতা করেননি। বরং আসামি মুশতাককে অনৈতিক সাহায্য করতে থাকেন।

উল্লেখ্য, রাজধানীর মতিঝিল এলাকার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ে করে আলোচনায় এসেছিলেন প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির সাবেক দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ। ৬০ বছর বয়সী মুশতাক এর আগেও দুটি বিয়ে করেছিলেন। কলেজছাত্রীর সঙ্গে তার বিয়ে মেনে নিতে পারেনি মেয়েটির পরিবার। 

ওই ছাত্রীর স্বজনদের অভিযোগ, মুশতাক আহমেদ তাদের মেয়েকে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছেন। পরবর্তীতে অসমবয়সী দু’জনের এই প্রেম ও বিয়ের বিষয়টি আদালত পর্যন্তও গড়িয়েছে। উচ্চ আদালত এ মামলার শুনানিতে মুশতাক আহমেদকে বলেছেন, নৈতিকভাবে তিনি কাজটি ঠিক করেননি।

ইত্তেফাক/এবি