সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে এক লাখ টাকায় শিশু সন্তান বিক্রির অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। অভিযান চালিয়ে শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুর বাবাসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগীর শিশুর মা মাফিয়া বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর সার্কেল) শুভাশীষ ধরের নির্দেশনায় ও শান্তিগঞ্জ থানার ওসি সার্বিক সহযোগিতায় তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোহন রায়ের নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সের সহায়তায় সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক, জগন্নাথপুর, জামলাগঞ্জ ও ঢাকার নরসিংদী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করেন এবং শিশুকে উদ্ধার করেন।
অভিযুক্তরা হলো শিশুর বাবা সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ থানা এলাকার মল্লিকপুর গ্রামের সাবা উদ্দিনের ছেলে সালে নুর (৩০), একই জেলার শান্তিগঞ্জ থানা এলাকার বাবনিয়া গ্রামের মৃত আশক আলীর ছেলে মনফর আলী (৪৫), জগন্নাথপুর থানা এলাকার কাজিরগাঁও গ্রামের মৃত দারিছ মিয়ার ছেলে রমাই মিয়া (৫৫) ও নরসিংদী থানা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ও সুনামগঞ্জ সদর থানা এলাকার ভাড়াটিয়া খেজাউরা হাছন নগর এলাকার মৃত রফিক আলমের মেয়ে লাকি আক্তার (৩৮)।
জানা যায়, মাফিয়া বেগম ও তার স্বামী অভিযুক্ত নুরের মধ্যে পারিবারিক ও দাম্পত্য নিয়ে মনমালিন্য সৃষ্টি হয়। দুই ছেলেসহ বাবার বাড়ি বাবনিয়া গ্রামে পাঠিয়ে দেয়। একমাস পূর্বে অভিযুক্ত নুর তার বাবনিয়া গ্রামে আসে এবং স্ত্রী ও পুত্রদেরকে নিয়ে যায়। কিন্তু স্ত্রী মাফিয়া বেগম বাবার বাড়িতে থেকে যান। স্ত্রী ছেলেদের সঙ্গে না থাকার সুযোগে নুর ছেলেকে বিক্রি করে দেয়।
অভিযুক্ত শিশুর বাবা অভিযোগ স্বীকার করে জানান, আর্থিক লোভের কারণে মনফর আলী ও রমাই মিয়ার সহায়তায় লাকী আক্তারের কাছে এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে তার শিশুপুত্রকে বিক্রয় করেন তিনি।
শান্তিগঞ্জ থানার ওসি খালেদ চৌধুরী বলেন, ভুক্তভোগীর মা মাফিয়া বেগম লিখিত অভিযোগ দেওয়ার ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনায় মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।