কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, ‘জিয়া ভাই, মুক্তিযোদ্ধা না এ কথা বললে আমি মেনে নেব না। আওয়ামী লীগের অনেকেই বলেন, উনি বঙ্গবন্ধুকে খুন করেছেন, খুনে সহযোগিতা করেছেন অথবা জানতেন, এগুলো মুখে না বলার চাইতে মামলা দিয়ে প্রমাণিত করে উনাকে মরণোত্তর ফাঁসি দেন তাতেও আপত্তি নেই, কিন্তু তিনি মুক্তিযোদ্ধাই না; পাকিস্তানের এজেন্ট এসব কথা বলে মুক্তিযুদ্ধকে ছোট করা ভালো না।’
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইলের সখীপুরে দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘বিএনপির ভাইয়েরা একটি হাওয়া ভবন বানিয়েছিল। কিন্তু তারা একবারও বলে নাই এটি ভুল ছিল, অন্যায় হয়েছে, ক্ষমা চাই। ওনারা খুব পপুলার, যেন আগামী সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী হবেন। ইয়াহিয়া খানও চেয়েছিল, এ দেশের মানুষ চাই না, মাটি চাই, কিন্তু মাটি পায় নাই।’ এ সময় তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘বাংলার মানুষের মতামত ছাড়া, বাংলার মানুষের ইচ্ছা ছাড়া, বাংলার মাটি কেউ পাবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল ড. কামাল হোসেনকে নেতা মেনে তার জোটে যোগ দেওয়া। কিন্তু তিনি আসলে কোনো নেতা নন। সবার পরে যোগ দিয়ে সবার আগে জোট থেকে বেরিয়ে এসেছি।’
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমি ওই ভোটে দাঁড়াব না, যে ভোটে ভোটারেরা ভোট দিতে পারবে না। সব ভোটারেরা যখন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবে, আমি ওই ভোটে দাঁড়াব। এটা আমার বোনকেও (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) বলেছি। চোরদের বিদায় করেন।’
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘যারা স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করতে চায়, ধ্বংস করতে চায়, তারা আইয়ুব খানের সন্তান হলেও বাংলাদেশে তাদের কোনো ঠাঁই নেই। আমেরিকা, চীন, সারা দুনিয়াও যদি তাদের সঙ্গে নাচে তবু তারা বাঙালিদের সঙ্গে পারবে না। পাকিস্তানও পারে নাই। বাংলাদেশ আমাদের দেশ, আমরা ইচ্ছামতো যাকে পছন্দ হবে তাকে দিয়ে দেশ চালাব।’
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, একটু সাবধান হন, মানুষকে সম্মান করার চেষ্টা করেন।
বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, আপনারা আছেন জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সেলফি তোলার আলাপ নিয়ে! আজকে তো তিনি জো বাইডেনের সঙ্গে খাবেন; কি খেলেন সেটি নিয়েও সমালোচনা শুরু হবে।
বিএনপির উদ্দেশ্যে আরও বলেন, চাল ডাল তেলের দাম কত? মানুষ খাইতে পারে না। দেশের মানুষকে নিয়ে কথা বলেন। একদল আছেন ক্ষমতায় থাকার জন্য, আরেক দল আছেন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য।
ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন নবীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা বীরপ্রতীক, শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, সালেক হিটলু, সানোয়ার হোসেন সজীব, যুব হাবিবুন্নবী সোহেল, আলমগীর সিদ্দিকী, আশিক জাহাঙ্গীরসহ অনেকে।
