মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার পারতিল্লী বাজারের মায়ের দোয়া সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি নামে একটি বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে এক গ্রাহকের গচ্ছিত ১৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে গচ্ছিত টাকা ফেরত না পেয়ে এ ঘটনায় ঐ সংস্থার মো. ফরহাদ হোসেন, মো. আজম খান, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. লোকমান মিয়া, মো. জিন্নত ও মো. হানিফ খানের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রাহক মো. আবেদ আলী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-৩ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের বিচারক মামলাটি মানিকগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পারতিল্লী বাজারের মায়ের দোয়া সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির নামে একটি বেসরকারি সংস্থা গ্রাহককে ১৪% লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে এলাকার হতদরিদ্র লোকজনকে ধোকা দিয়ে লাখ লাখ টাকা আমানত সংগ্রহ করে। এর ধারাবাহিকতায় এলাকার সহজ-সরল হতদরিদ্র মো. আবেদ আলী যথাক্রমে মোট ১৭ লাখ টাকা গচ্ছিত রাখেন। উক্ত গচ্ছিত টাকা ফেরত চাইলে তা দিতে টালবাহানা করে। দিনের পর দিন ঘুরাতে থাকে। একপর্যায়ে গচ্ছিত টাকা ফেরত দেওয়া হবে না মর্মে জানায় সমিতি কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, সমবায় সমিতির আইন ২০২৩ সংশোধিত অনুযায়ী ব্যাংকিং কার্যক্রম জিপিএস এফডিআর সঞ্চয়পত্র ও সঞ্চয় হিসাব খুলে কোনোক্রমে গ্রাহকের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করা যাবে না। অথচ এসব নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে ক্ষুদ্রঋণের নামে গ্রামের সহজ-সরল মানুষের কাছ থেকে টাকা আমানত সংগ্রহ করা হচ্ছে। এসব অভিযোগ উঠেছে মায়ের দোয়া সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. সুলতানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সমিতির কর্তৃপক্ষ টাকা গচ্ছিত রাখার কথা স্বীকার করেছে। সঠিক সময়ের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট কোর্টে পাঠানো হবে।