সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ানোর প্রবণতা ঠেকাতে তিনটি কৃষি পণ্যের সরকার নির্ধারিত দাম মানছেন না ব্যবসায়ীরা। তার প্রভাব খুব ভালোভাবেই পড়েছে নওগাঁর নিয়ামতপুরে। প্রশাসনের তৎপরতা না থাকায় সরকারের নির্ধারিত দরে আলু ও পেঁয়াজ বিক্রি কাঁচা বাজারে।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা সদর কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি আলু আগের মতোই ৫০-৫৫ টাকাতেই বিক্রি হচ্ছে।
আবার প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকা দরে। এছাড়া, আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়। দোকানিদের দাবি, সরকারের বেঁধে দেয়া দামে আলু কিনতে পারেননি তারা। তাই আগের দামেই আলু বিক্রি করছেন।
খুচরা আলু বিক্রেতার ভাষ্য, ‘সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ৩৫ টাকা। সেই দামে আলু আমরা কিনতেও পাইনি। এসব আলু আমার আগের কেনা। ৪০ টাকাতেও বিক্রি করার সুযোগ নেই।’
খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতার ভাষ্য, ‘সরকার দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও মোকামগুলোতে পেঁয়াজের দাম এখনও আগের মতই রয়েছে। মোকামে পেঁয়াজের দাম কমে গেলেই পাইকারি ও খুচরা বাজারে দাম কমে যাবে।’
আলু চাষি ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘আমরা ধার দেনা করে আলু চাষাবাদ করি। ধার দেনা শোধ করার জন্য মৌসুমে শুরুতেই আলু বিক্রি করতে হয়। তখন এক মণ আলু ৬০০-৮০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। আমরা আলু উৎপাদন করে দাম পায় না, কিন্তু ক্রেতাদের ঠিকই বেশি দামে আলু কিনে খেতে হচ্ছে। আলু ব্যবসায়ী আর কোল্ড স্টোরেজের কাছে এখন জিম্মি বাজার।’
বাজারে আসা একজন ক্রেতার ভাষ্য, ‘বাজারে ভোগ্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির দামের কারণে চাহিদামতো ক্রয় করতে পারি না। সব ধরণের সবজির দামের পাশাপাশি গরিবের একমাত্র ভরসা আলু সেই আলুর দামও হাফ সেঞ্চুরি। মাছে তো হাত দেওয়ায় যায় না, মাছের দামও ঊর্ধ্বগতি।’
তবে বাজার মনিটরিং কমিটির সদস্যরা কাঁচা বাজারে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে উল্লেখ করে নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমতিয়াজ মোরশেদ ইত্তেফাকের এই সংবাদদাতাকে বলেন, ‘আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বেশি দামে আলু ও পেঁয়াজ বিক্রির সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকলে দোষীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাজার মনিটরিং কমিটির সদস্যরা কাঁচা বাজারে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।’