রোববার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

দুই বার আমি নৌকা চাই নাই, এবার চাইব: নিক্সন চৌধুরী

আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২:৪০

যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসন) আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান ওরফে নিক্সন চৌধুরী বলেছেন, গত দুবার আমি নৌকা চাই নাই। এবার আমি নৌকা চাইব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বানিয়েছেন যুবলীগের সভাপতিকে নিয়ে সারা দেশে যুবলীগ সংগঠিত করার জন্য। নৌকা চাওয়া আমার অধিকার। যদি কাজী জাফরউল্যাহর ষড়যন্ত্রের কারণে আমি নৌকা না পাই, তাহলে আপনারা যে সিদ্ধান্ত দেবেন, মাথা পেতে নেব।’

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ভাঙ্গার কালামৃধা ইউনিয়নের দেউড়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত জনসভায় এ কথা বলেন তিনি। 

নিক্সন চৌধুরী বলেন, শাহাদৎ ভাই আপনার চেয়ে বড় নেতা। শাহাদৎ ভাই ফরিদপুরের ৯ উপজেলার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ভোটে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েছেন। ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি করছেন, জেল খেটেছেন, কোপ খাইছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে আছেন। জাফরউল্যাহ সাহেব, আপনাকে বলি, রাজনীতি বুঝতে হলে শাহাদৎ ভাইয়ের পা ধুয়ে পানি খান।

ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসন নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র এই সংসদ সদস্য বলেন, এই আসনের এমপি ছিলেন কাজী জাফরউল্যাহ, এমপি ছিলেন তার স্ত্রী। তারপরও ২০১৪ সালে এলাকার মানুষ নৌকা বাদ দিয়ে তাকে (নিক্সন) ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। 

নিক্সন চৌধুরী বলেন, আপনি (জাফরউল্যাহ) বক্তৃতায় বাবা ও চাচার কথা বলেন। কিন্তু আপনি সংসদ সদস্য ছিলেন, আপনার স্ত্রী সংসদ সদস্য ছিলেন। কিন্তু এলাকার কোনো উন্নয়ন করেন নাই। একটা মানুষকে সাহায্য করেন নাই। এলাকার লোকদের ভোট পাইয়া এমপি হইছেন, প্রতিমন্ত্রী হইছেন, ছয়বার দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হইছেন। কিন্তু এলাকার জন্য কী করেছেন?

কালামৃধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিজাউল মাতুব্বরের সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদৎ হোসেন, ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইসাহাক মোল্লা, জেলা মিনি বাস মালিক সমিতির সম্পাদক সোবাহান মুন্সীসহ অনেকে।

২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ মনোনীত কাজী জাফরউল্যাহকে পরাজিত করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নিক্সন চৌধুরী।

ইত্তেফাক/পিও