চিরকুট লিখে রাজধানীর একটি হোটেলে মাদারীপুরের রাজৈর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের আত্মহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে জল্পনা ছড়িয়েছে। রাজৈর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কি প্রকৃতই আত্মহত্যা করেছেন। যদি করেও থাকেন, তাহলে কেনইবা তিনি ঢাকার একটি হোটেলে যাবেন এবং গলায় গামছা পেচিয়ে আত্মহত্যা করলেন? এমনই নানা প্রশ্ন ঘুরছে স্থানীয়দের মনে। এর পেছনে বড় ধরনের কারণ থাকতে পারে বলেও অনেকে অনুমান করছেন।
স্থানীয়রা অনুমান করছেন, পাওনাদারদের চাপ, পারিবারিক সমস্যা ও সহকর্মী শিক্ষকদের সঙ্গে মানসিক দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
সূত্র জানায়, প্রাতিষ্ঠানিক কাজে বুধবার ঢাকায় যান প্রধান শিক্ষক মণীন্দ্র নাথ বাড়ৈ। শাহবাগ থানাধীন তোপখানা রোডস্থিত হোটেল রয়েল গ্র্যান্ড হায়াতের ১০২ কক্ষে গিয়ে ওঠেন। বৃহস্পতিবার তার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ শাহবাগ থানাকে ফোন দেন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) সাহালম বলেন, ‘দুপুরে খবর পেয়ে রয়েল হোটেলের ১০২ নং কক্ষ থেকে ফ্যানের সঙ্গে গামছা পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে উদ্ধার ময়নাতদন্তের মর্গে পাঠানো হয়। তবে তিনি একটি স্ইুসাইডাল নোট (চিরকুট) রেখে গেছেন। আমরা প্রথমে সেই চিরকুটের আলোকে তদন্ত শুরু করবো।’
ওই স্কুলের শিক্ষকরা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন তিনি (প্রধান শিক্ষক)। এরপর থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।