কেরানীগঞ্জে নির্মাণ হবে দেশের বৃহত্তম পার্ক। নামকরণ করা হয়েছে শেখ হাসিনা আঞ্চলিক পার্ক। যার আয়তন নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৪২ একর বা ১ হাজার ২৬৬ বিঘা। শেখ হাসিনা আঞ্চলিক পার্কের বাস্তবায়ন ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানও ইতিমধ্যে নিয়োগ করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।
ঢাকা-৩ আসনের এমপি ও বিদ্যুত্ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু জানান, রাজধানীর মিরপুর জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান ও জাতীয় চিড়িয়াখানার সঙ্গে ২০৮ একর অথবা ৬২৪ বিঘার ঐ জমিতে উদ্যান গড়ে ওঠেছে ১৯৬১ সালে। সে আয়তনের পরে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে রাজাধানীর রমনা পার্ক। যার আয়তন সাড়ে ৬৮ একর অথবা ২০৫ বিঘা জমির ওপর উদ্ভিদ উদ্যান ও রমনা পার্ককে পেছনে ফেলে দ্বিগুণ আয়তনের দিক থেকে এবার নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে কেরানীগঞ্জের শেখ হাসিনা আঞ্চলিক পার্কে।
রাজউকের প্রধান স্থপতি মোশতাক আহমেদ জানান, প্রায় ৪৪২ একর জমি নিয়ে তৈরি হতে চলছে শেখ হাসিনা আঞ্চলিক পার্ক। নির্মাণকাজের জন্য একটি পরামর্শক দল নিয়োগ করা হয়েছে। তারা দ্রুত পার্কের নকশা তৈরির কাজ করছে। প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদের সার্বিক সহযোগিতায় পার্কের জায়গাও নির্ধারণ করা হয়েছে।
রাজউকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বিশাল এই জায়গা জুড়ে পরিকল্পনায় পরিবেশবান্ধব ও আধুনিক শহর তৈরির উদ্দেশ্যে পাঁচটি বৃহত্ আঞ্চলিক পার্ক, ৪৯টি পানিকেন্দ্রিক পার্ক, আটটি ইকোপার্ক এবং ৯টি অন্যান্য পার্ক ও খেলার মাঠ নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় কেরানীগঞ্জ উপজেলার শুভাঢ্যা, কুল্লিরচক, বাঘৈর ও কাজীরগাঁও মৌজায় প্রায় ৪২২ একর জমি অধিগ্রহণ করে শেখ হাসিনা আঞ্চলিক পার্ক নামে প্রস্তাব করেছে ড্যাপ। এই পার্কের জন্য প্রস্তাবিত ভূমি ব্যবহার উন্মুক্ত স্থান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শেখ হাসিনা আঞ্চলিক পার্কের পশ্চিম পাশে ১০০ ফুট প্রশস্ত নতুন রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে রাজউকের। ইতিমধ্যে পার্কের প্রস্তাবিত নাম ও প্রকল্পটি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
রাজউকের বেশ কয়েক জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, রাজউকের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল ও স্থানীয় এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বেশ কয়েক বার প্রস্তাবিত পার্কের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেছেন। রাজউকের সদস্য ও প্রকল্প পরিকল্পনাকারী মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) সামসুদ্দীন আহমেদ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মো. আল আমীনসহ অন্যরা সঙ্গে ছিলেন। রাজউকের নগর পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম, বিদ্যুত্ জালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদসহ রাজউকের প্রকল্প প্রতিনিধি দল জমি অধিগ্রহণ ও এলাকার সীমানা নির্ধারণ করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। অল্প সময়ের মধ্যে আঞ্চলিক পার্কের নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।