শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

কী করতে চাইছে বাংলাদেশ?

আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪:০৪

খেলাটা ৫০ ওভারের। একজন বোলার করতে পারবে সর্বোচ্চ ১০ ওভার। স্বাভাবিকভাবেই দলে প্রয়োজন ৫ জন জেনুইন বোলার। কিন্তু বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচের চিত্রটা ছিল ভিন্ন। মাত্র তিনজন মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিদ সাকিব এবং নাসুম আহমেদ কে নিয়ে মাঠে নামলেন অধিনায়ক লিটন।

চতুর্থ বোলার হিসেবে রয়েছে বোলিং অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী হাসান। যে কিনা জাতীয় দলে নিজেকে এখনো মেলে ধরতে পারেনি। যদিও টি-২০ তে পাওয়ার প্লে এবং প্রথম ওভারে বোলিং করার অভিজ্ঞতা রয়েছে, সে হিসেবে তাকে ধরা যায় চতুর্থ জেনুইন বোলার হিসেবে। এরপরের প্রশ্ন তাহলে পঞ্চম বোলারের কোটা পূরণ করবেন কে?

প্রথম ম্যাচে এই প্রশ্নের উত্তর লিটন দিয়েছেন সৌম্য সরকার এবং মাহমুদউল্লাহ কে দিয়ে বোলিং করিয়ে। তারা আহামরি কিছু করতে না পারলেও পার্ট-টাইমার হিসেবে চালিয়ে দিয়ে যাওয়ার মতো। মাঝেমধ্যেই অধিনায়কেরা জুটি ভাঙতে বল তুলে দিতেন মাহমুদ-উল্লাহর হাতে। তাদের ভরসার প্রতিদান দিয়ে একদিনের ক্রিকেটে মাহমুদউল্লাহ ঝুলিতে ভরেছেন ৮২ উইকেট। কিন্তু ইনজুরির কারণে এখন খুব একটা বল করতে দেখা যায় না তাকে। আর সৌম্য সরকারকে যেন জোর করে অলরাউন্ডার বানানো হচ্ছে। কয়েকবছর ধরে ফর্মে না থাকা এই ব্যাটারকে যেন চেষ্টা চলছে বোলিং করিয়ে ফর্মে ফিরিয়ে আনার। যা নিয়ে রীতিমতো ট্রোল হতে থাকে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে।

অন্যান্য দল পার্ট-টাইম বোলারদের ব্যবহার করেন জুটি ভাঙতে অথবা কোনো বোলার আঘাত পেলে তার জায়গায় বোলিং করতে। আবার অনেক দল তো ছয়জন বোলার নিয়েই মাঠে নেমে পড়েন। যদি কেউ খারাপ করেন তাহলে রিপ্লেসমেন্ট রেডি করে রাখেন। কিন্তু সেখানে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম নামলেন মাত্র চারজন নিয়ে। কোটা পূরণ করতেই লিটনকে দ্বারস্থ হতে হচ্ছে পার্ট-টাইমারদের কাছে।

তাদের হাতে বল তুলে দিয়ে কি তাহলে বিসিবি এই সিরিজে খুঁজছে ষষ্ঠ বোলার? যে কিনা বিশ্বকাপে হয়ে উঠবে অধিনায়কের তুরুপের তাস! সেটা আসলে বিসিবি-ই ভালো জানে।

বাংলাদেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের অতীত রেকর্ড ভালো না। তারপরও এই সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকা বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে। এই দলের সঙ্গে জয় ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছে না বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা। কিন্তু যেখানে বোলিংয়ের কোটা পূরণ করতেই হিমশিম খাচ্ছে সেখানে জয়ের প্রত্যাশা কতটুকু করা যায়। তবে বোলার না থাকলেও দলের ব্যাটিং লাইনআপ বেশ বড়ই। আটজন ব্যাটার। তাদের ভরসাতেই হয়তো বোলার কমানো হয়েছে। কিন্তু এক পাশ স্ট্রং আরেক পাশ দুর্বল হলে ত ম্যাচ জেতা কঠিন। তাই ব্যালেন্স ঠিক রাখা জরুরী।

বিশ্বকাপের আগে এই সিরিজে নেওয়া হয়েছে বিসিবির বিশ্বকাপ বিবেচনায় থাকা বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে। বাজিয়ে দেখছেন তাদের। তাদের জন্য এই সিরিজ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আজ তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে। বেলা ২টায় মাঠে নামবে দু’দল। বৃষ্টির কারণে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে পরিত্যক্ত হয়। তবে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে লিড নেওয়ার লক্ষ্য বাংলাদেশের। আজকের ম্যাচে কেমন একাদশ নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা। 

ইত্তেফাক/জেডএইচ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন