কৃষক-ব্যাবসায়ীদের আলুর টাকা নিয়ে দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর আইস অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজের ম্যানেজার শাহীন সরদার গাঢাকা দিয়েছেন এমনই অভিযোগ উঠেছে।
চলতি বছরের মার্চে ওই হিমাগারে প্রতি বস্তা (৫৫ কেজি ওজনের) চার হাজার ৬১৭ বস্তা আলু রেখেছিলেন দাউদকান্দি উপজেলার পেন্নাই গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে আলু ব্যবসায়ী ওয়ালী উল্লাহ। এর মধ্যে বেশ কিছু আলুর জন্য হিমাগারের অগ্রিম ভাড়াও পরিশোধ করেছিলেন। ওয়ালি উল্লাহ এরই মধ্যে এক হাজার ৬৫৮ বস্তা আলু নিয়ে বিক্রি করলেও বাকি দুই হাজার ৯৫৯ আলু হিমাগারেই থেকে যায়। অস্বাভাবিকভাবে আলুর মূল্য বৃদ্ধি শুরু হলে তিনি হিমাগার থেকে আলু নিতে এসে জানতে পারেন যে সব আলু ম্যানেজার শাহীন সরদার বিক্রি করে ফেলেছেন। বিক্রি হওয়া আলুর টাকার জন্য ম্যানেজারকে চাপ দিলে বেশ কয়েকবার তারিখ পিছিয়ে হয়রানি শুরু করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ওয়ালি উল্লাহ এ বিষয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ম্যানেজার শাহীন সরদারকে পুলিশ ডেকে নিলে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সব টাকা পরিশোধ করবে বলে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা দেয়।
এদিকে অঙ্গীকারনামা উল্লেখ করা টাকা পরিশোধের তারিখ ঘনিয়ে এলে ম্যানেজার শাহীন সরদার উধাও হয়ে যান। তার ভাই জাহিদ সরদার গত ১২ সেপ্টেম্বর দাউদকান্দি থানাায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
এদিকে ওয়ালী উল্লাহ ও কৃষকদের ভাষ্য, টাকা মেরে দেওয়ার জন্য অপহরণের নাটক সাজানো হয়েছে। এ উপজেলার লক্ষ্মীপুরের জহিরুল ইসলাম অভিযোগ করেন যে, এই ম্যানেজার তার ৩০০ বস্তা ও শিবপুর গ্রামের খোকন মোল্লার ২০৫ বস্তা আলুও বিক্রি করে ফেলেছেন। একই অভিযোগ করছেন অন্য কৃষকরাও।
হিমাগারের ম্যানেজার ও মালিকপক্ষের কাউকে টেলিফোনে পাননি ইত্তেফাকের এই সংবাদদাতা।
এদিকে আলুর সংকট প্রসঙ্গে দাউদকান্দির আমিরাবাদ এলাকার কুমিল্লা ফুড অ্যান্ড অ্যালাইড ইন্ডাস্ট্রিজের ম্যানেজার আব্দুস সালাম বলেন, গত দুই বছরের তুলনায় এবার কৃষকগণ অনেক কম আলু মজুদ রাখায় এবার আলুর সংকট দেখা দিয়েছে।