রাজধানীর বনানীতে কোনো কারণ ছাড়াই প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট নামের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে তালা দিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। রোববার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক খন্দকার আবুল খায়ের এই অভিযোগ করেন।
নির্বাহী পরিচালক খন্দকার আবুল খায়ের বলেন, প্রেসক্রিপশন পয়েন্টের মতো একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ব্যবহার করে একটি কুচক্রী মহল বেআইনিভাবে বন্ধ করে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে জোরপূর্বক তা করা হয়েছে। আমাদের এ সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ও ভবনটি দখল করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য।
খন্দকার আবুল খায়ের জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে এখন প্রায় ২০০ কর্মকর্তা ও কর্মচারী জড়িত। এছাড়াও ৫০জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়মিত চেম্বার করে উন্নত চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু চলতি বছরের ১৮ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি পরিদর্শন দল সেখানে যান। ওই দিন প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে চিঠি পাঠানো হয়। একই সঙ্গে কোনো প্রকার কারণ দর্শানোর নোটিশ না দিয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ও লাইসেন্স স্থগিত করার আদেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করা হয়। রিটটি এখন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। হাইকোর্ট খুললে সেটির শুনানি হবে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে বনানীতে প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি তালাবন্ধ করে দেয়।