জামালপুরের মেলান্দহে বহুল আলোচিত স্কুল ছাত্রী রিথী আক্তার (১৬) হত্যা মামলার আসামি আল মামুনকে (৫২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শেরপুর জেলার জঙ্গলদি গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আল মামুন চরপলিশা গ্রামের মৃত আইজল মণ্ডলের ছেলে। র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
নিহত রিথী আক্তার চরপলিশা জাহানারা লতিফ হাই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। সে বেতমারী গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে। একই স্কুলের এসএসসি পরিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান রাব্বি ওরফে গোলাম রাব্বির বাড়ি স্কুলের পাশেই। সে আল মামুনের ছেলে। চার মাস আগে ভালোবেসে রিথি আক্তারকে বিয়ে করে গোলাম রাব্বি। রাব্বির স্বজনরা এই বিয়ে মেনে নেয়নি। একে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। একপর্যায়ে সোমবার বিকেলে রিথি আক্তারকে বাবার বাড়ি থেকে ডেকে আনে। এক ঘণ্টা পরেই আল মামুনের ঘরে রিথি আক্তারের লাশ রেখে সপরিবারে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে মেলান্দহ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার শেষে মর্গে পাঠায়। পরদিন নিহতের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে গোলাম রাব্বীসহ তার পরিবারের ৫ সদস্যের নামে মেলান্দহ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ হত্যাকাণ্ডের চারদিনেও আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ, মানববন্ধন ও ডিসি অফিস ঘেরাও করে সহপাঠী ও এলাকাবাসী। এসময় বিক্ষোভকারীরা ডিসি অফিসের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
আধা ঘণ্টা পর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোক্তার হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিটুস লরেন্স চিরান, মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেলিম মিয়াসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং বিক্ষোভকারীরা সমঝোতায় পৌঁছান অর্থাৎ বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে।