বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

দুর্ঘটনার আশঙ্কা

রায়পুরে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে জ্বালানি তেল

আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:০০

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে জ্বালানি তেল। বাড়ছে জ্বালানি তেল বিক্রির অবৈধ দোকানের সংখ্যাও। এর ফলে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রায়পুরে তিনটি পাম্পের জ্বালানি তেল বিক্রির বৈধ লাইসেন্স ও অনুমোদন রয়েছে। খোলা বাজারে বিক্রির জন্য ১০ জন ডিলার রয়েছে। অথচ সব নিয়মনীতি উপেক্ষা করে শুধু পৌরশহরেই প্রায় শতাধিক জ্বালানি তেল বা পেট্রোলিয়াম জাতীয় পদার্থ বিক্রির দোকান গড়ে উঠেছে। এসব দোকান যেমন অবৈধ, তেমনি এদের তেল সংগ্রহ পদ্ধতিও অবৈধ। এছাড়াও ইউনিয়নগুলোতে রয়েছে অগণিত অবৈধ দোকান। আর এসব দোকান থেকে নাশকতাকারীরা খুব সহজেই জ্বালানি ক্রয় করে বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ আছে।

সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, পেট্রোলিয়ামসংক্রান্ত আইন অনুসারে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স ছাড়া কোনো দোকানে জ্বালানি তেল বিক্রি করা যাবে না। অথচ সাধারণ ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে, এমন কি কোনো বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই এসব প্রতিষ্ঠান ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারি এসব নীতিমালার তোয়াক্কা না করেই রায়পুরে সর্বত্র ছোটবড় বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে দাহ্য পদার্থ। আর এভাবে ওপেন জ্বালানি তেল বিক্রিতে সাধারণ মানুষ থাকে প্রতিটি মুহূর্তে আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠায়। ওষুধের দোকান, মুদি দোকান ও কাপড়ের দোকানেও চলছে অকটেন, ডিজেল, পেট্রোল ও কেরোসিন বিক্রি। বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প থেকে সংগৃহীত এবং চোরাইপথে আসা গ্যাস কনডেনসেট বা তলানিসহ অন্যান্য নিম্নমানের পদার্থ মিশিয়ে তেল বিক্রি করা হয়। মাপে কম দেওয়াও অবৈধ তেল ব্যবসায়ীদের আরেকটি প্রবণতা।

ভুক্তভোগীরা জানান, এসব নিম্নমানের ভেজাল তেল ব্যবহার করায় গাড়ির ইঞ্জিনের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। পাশাপাশি এর কালো ধোঁয়ায় পরিবেশও দূষিত হচ্ছে। এই তেলে যাত্রীদের চোখ জ্বলে এবং ইঞ্জিন থেকেও বেশি শব্দ হয়। এসব ভেজাল চোরাই তেলে গাড়ির মাইলেজ কমে যায়।

শহরের দুজন পেট্রোল পাম্পের ম্যানেজার জানান, জ্বালানি তেলে ভেজাল হচ্ছে সত্য। তবে পাম্পগুলোতে কম হচ্ছে। বেশি ভেজাল করে খোলা বাজারের দোকানিরা।

রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন দাশ বলেন, ভেজাল জ্বালানি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে। তবে পাম্প মালিকদের বলা হয়েছে ভেজাল জ্বালানি তেল বিক্রয় না করার জন্য ।

ইত্তেফাক/এমএএম