রোববার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

জমির সীমানা নিয়ে বিরোধে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২

আপডেট : ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১১:০৮

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার কামারগাঁও গ্রামে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে দু’পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে। এতে দু’পক্ষের দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। তাদেরকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন ওই গ্রামের চেরাগ মহালদারের ছেলে বাহুবল উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ মিয়া (৪০) ও হাছন আলীর ছেলে উস্তার মিয়া (৪২)। সূত্রপাত হওয়া সংঘর্ষের এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাত ১২টার দিকে উভয় পক্ষের বাড়িতে অগ্নি সংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয়রা জানান, জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে কামারগাঁও গ্রামের আব্রু মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া ও তার লোকজনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের চেরাগ মহালদারের ছেলে ইউসুফ গংদের বিরোধ চলে আসছিল।

বিষয়টিকে কেন্দ্র করে কয়েক মাস আগেও উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে ইউসুফ মিয়া ও তার ভাই লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে ফারুক মিয়ার পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছিল। এ মামলায় গত ২১ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে তারা জামিন জামিন লাভ করেন। এরপর থেকে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

দুই দিন আগেও তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

শনিবার আবারও সন্ধ্যায় বাহুবল উপজেলার চেরাগ আলী ফিলিং স্টেশন এলাকায় আবারও দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে রাত ১০টার দিকে ইউসুফ মিয়া ও উস্তার মিয়াসহ তাদের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে আহত ইউসুফ মিয়া, উস্তার মিয়া, আতাউর মিয়া, সোলেয়মান আহমেদ, হাছন আলী, শহীদ মিয়া ও কালা মকসুদসহ ১০ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইউসুফ মিয়া ও উস্তার মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানেও দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে মারামারি হয়।

পরে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম মুরাদ আলিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে যান।

রাতে এলাকায় এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের লোকজন একে অপরের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও ব্যাপক অগ্নি সংযোগ করে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কয়েকটি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করলে রাতে বেশ কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

ইত্তেফাক/এইচএ