বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

ইইউয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক কিয়েভে

আপডেট : ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১২:৪৪

ইউক্রেনে গিয়ে কিয়েভের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানালেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। কিন্তু ভবিষ্যতে এই ছবি অভিন্ন থাকবে কিনা সেটি নিয়ে বিশ্ব গণমাধ্যমে উঠেছে নানান প্রশ্ন।

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইইউয়ের কূটনীতিক জোসেপ বরেল কিয়েভে গিয়ে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে ঘোষণা দেন, ইইউ পুরোপুরি ইউক্রেনের পাশে আছে। পরবর্তীতে এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘আমরা ইউক্রেনে ইইউয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ঐতিহাসিক বৈঠক ডেকেছি ও ইউক্রেনকে ইইউয়ের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করেছে। তারা ভবিষ্যতে ইইউয়ের সম্ভাব্য সদস্য। আমরা তাদের পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি।’

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবক বলেছেন, ‘আসন্ন শীত মওসুমে রাশিয়ার বোমা নিক্ষেপের হাত থেকে বাঁচার জন্য ইউক্রেনের একটা প্রোটেকটিভ শিল্ড দরকার।’

অর্থাৎ তিনি ইউক্রেনের এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করতে চেয়েছেন। এদিকে ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, রাশিয়া যেন মনে রাখে আমরা দীর্ঘ সময়ের জন্য ইউক্রেনকে সমর্থন ও সাহায্য করে যাবো।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ১৮ মাসেরও বেশি সময় হয়ে গেছে। এখনো এই বিরোধ মীমাংসার কোনো ইঙ্গিত নেই। ইউক্রেনও এখন শুরু করেছে পাল্টা আক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে ইইউয়ের দেশগুলো মিলে ১৩০ বিলিয়ন ইউরো সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। জার্মানি একাই ২০ বিলিয়ন ইউরো দেওয়ার কথা বলেছে। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র দিচ্ছে ৬০ বিলিয়ন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত রোববার (১ অক্টোবর) স্লোভাকিয়ার নির্বাচনে রুশ পন্থি রবার্ট ফিকোর জোট জিতেছে। তিনি ইউক্রেনকে কোনোরকম সামরিক সাহায্য দেয়ার বিরোধী। ফলে হাঙ্গেরির মতো স্লোভাকিয়াও ইউক্রেন-বিরোধী অবস্থান নিতে পারে।

এমনকি ইউক্রেনের অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু দেশ পোল্যান্ডও জানিয়েছিল, তারা আর ইউক্রেনকে অস্ত্র দেবে না। পরে অবশ্য প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তার কথার ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা ইউক্রেনকে পরমাণু অস্ত্র দেবো না।’ পোল্যান্ডেও নির্বাচন আসছে। কোন দল ক্ষমতায় আসবে তা নির্ভর করে কৃষকদের ভোটের ওপর। আর ইউক্রেন থেকে শস্য আসার ফলে পোল্যান্ডের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ভোটে তার প্রভাব পড়তে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রও এখন সাময়িকভাবে অর্থ সহায়তা বন্ধ রেখেছে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রে বাজেট আলোচনা চলছে।  ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন, তার আশা আগের মতোই সমর্থন করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।

তবে কিয়েভে ইইউয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের যে বৈঠক হয়েছে সেখানে ইউক্রেনের প্রতি ইইউয়ের নীতিতে খুব বেশি পরিবর্তন হবে এমন কোনো ইঙ্গিত মেলেনি।

ইত্তেফাক/এইচএ