বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

অপহরণের ৯ ঘণ্টা পর চকরিয়ায় স্কুলছাত্র উদ্ধার, অপহরণকারী গ্রেপ্তার

আপডেট : ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৫:৫৫

কক্সবাজারের চকরিয়ার হারবাং থেকে অপহরণ হওয়া স্কুল শিক্ষার্থীকে ৯ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অপহরণকারী যুবককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রোববার (২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে নয়টায় অপহরণ হওয়া শিশুটিকে পুলিশের চৌকস দল অভিযানে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয় বলে জানিয়েছেন চকরিয়া থানার ওসি জাবেদ মাহমুদ।

অপহৃত স্কুলছাত্র আব্দুল আউয়াল আদিল (৬) উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের শান্তিনগর পূর্ব নোনাছড়ি এলাকার মুহাম্মদ ইদ্রিছের ছেলে। এ ঘটনায় ইদ্রিছ বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।

অপহরণকারী মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন সায়েম (২৯) চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়নের শান্তিনগর পূর্ব নুনাছড়ি একই এলাকার ওসমান গণির ছেলে।

ওসি জাবেদ বলেন, রোববার সকালে আব্দুল আউয়াল তার সহপাঠীদের সঙ্গে স্কুলে যাচ্ছিল। পথে নাশতার প্রলোভন দেখিয়ে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মল্লিকপাড়া এলাকা থেকে আউয়ালকে নিয়ে যায় একই এলাকার মিনহাজ উদ্দিন সায়েম।

পরে আউয়ালের বাবার মুঠোফোনে কল করে আউয়ালকে অপহরণ করা হয়েছে উল্লেখ করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এ ঘটনায় হতবিহ্বল হয়ে ৯৯৯ হটলাইন নম্বরে কল করে ছেলেকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির বিষয়ে অবগত করেন আউয়ালের বাবা। এরপরই অভিযানে নামে পুলিশ। তারা সন্ধ্যা ছয়টার দিকে অপহৃত আব্দুল আউয়ালকে উদ্ধার ও অপহরণকারী সায়েমকে আটক করে।

ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, আব্দুল আউয়াল আদিলকে প্রলোভন দেখিয়ে লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকায় নিয়ে যায় অপহরণকারী। ছেলেকে পেতে হলে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির কথা এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয়রাও খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে কোনো হদিস না পেয়ে পুলিশকে জানানো হয়। চকরিয়া থানা পুলিশ জানার পর হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আবদুল আজিজ শেখের নেতৃত্বে অভিযানের পর অপহৃত স্কুলছাত্র আব্দুল আউয়ালকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।

চকরিয়া থানার ওসি জাবেদ মাহমুদ বলেন, ‘আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।’

ইত্তেফাক/এইচএ