নতুন করে ৯১টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করেছে সরকার। এর মধ্যে নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩৫টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৫টি, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১১টি, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ ২৩টি ও ডিগ্রি পাশ কলেজ রয়েছে ৭টি।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) পৃথক পাঁচটি আদেশে এসব প্রতিষ্ঠানের তালিকা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২৫৫টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল। তার আগে গত বছরের জুলাই মাসে ২ হাজার ৭১৬টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। আর ২০১৯ সালে আড়াই হাজারেরও বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির ঘোষণা করেছিল সরকার।
এমপিওভুক্তির শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, নিবন্ধনপ্রথা চালু হওয়ার আগে বিধিসম্মতভাবে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক ও কর্মচারীরাও এমপিওভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন। কিন্তু পরে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির জন্য অবশ্যই নিবন্ধন সনদ লাগবে। এ ছাড়া যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য বিবেচিত হয়েছে, তার মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠান নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় যোগ্যতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের এমপিও স্থগিত করা হবে। তবে পরে যোগ্যতা অর্জন করলে স্থগিত এমপিও আবার চালু করা হবে। আর যেসব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে, সেগুলোর কোনো তথ্য ভুল বা মিথ্যা প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমপিও হলো মান্থলি পে-অর্ডার বা মাসিক বেতন আদেশ। এমপিওভুক্ত হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতি মাসে বেতনের মূল অংশ ও কিছু ভাতা সরকার থেকে পেয়ে থাকেন।