রাজশাহীর বাঘা, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর এবং নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলের খাস জমিতে মশুর বোনার ঘটনা ও জমি দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বাঘা সীমান্ত এলাকার শাবুল এবং খেদু নামের দুজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
অপরদিকে দৌলতপুর এলাকার আরিফুল ও লিখন গুরুত্বর আহত হয়েছে। শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ও বিকালে দু’দফায় হবিরচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, তিন জেলার সীমান্তবর্তী তিনটি উপজেলার শেষ সীমানা পদ্মার চরাঞ্চলের হবির চর। সেখানে পদ্মার পানি কমে চর জাগার পর জমি দখল এবং ফসল বোনা নিয়ে শনিবার দুপুরে সাবুল এবং টুয়েল পক্ষের মধ্যে গুলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাঘার খানপুর গ্রামের শাবুল (২৮) এবং খেদু (৪৮) গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনার পর এলাকার লোকজন দ্রুত তাদেরকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে খবর শুনে বিকালে আহতদের পক্ষে বেলাল, রাজিব জমির ও এজাজুলসহ আরও ১০/১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল দৌলতপুরের মাজদিয়ার এলাকার আরিফুল (১৮) এবং লিখনকে (৩৫) ধরে বাঘা সীমানা এলাকায় এনে বেধড়ক মারপিট করে গুরুত্বর আহত করে। এ খবর পেয়ে বাঘা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যান এবং তাদের উদ্ধার করে বাঘা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এনে চিকিৎসা দেন। তবে তাদের অবস্থা বেগতিক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের রামেক হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
বাঘার পদ্মার চরাঞ্চল নিয়ে গঠিত চকরাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবলু দেওয়ান ঘটনার বর্ননা দিয়ে বলেন, এটি নতুন কিছু নয়, চরাঞ্চলের খাস জমি নিয়ে মাঝে মধ্যেই সংঘাত সৃষ্টি হয়। তবে গুলিবিদ্ধের ঘটনাটি জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
বাঘা থানা উপ-পরিদর্শক কামরুল ইসলাম জানান, শনিবার বিকালে খবর পেয়ে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মাজদিয়ার গ্রামের দু’জনকে বাঘা সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর আগে দুপুরে গুলিবিদ্ধ দুজনকে স্থানীয় লোকজন রামেক হাসপাতালে পাঠায়। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেনি।