নিত্যপ্রয়োজনীয় মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে অসাধু ব্যবসায়ীদের দুষেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, ‘আলু কোল্ড স্টোরেজে থাকায় ঠিক ব্যবসায়ীরা কিছুটা সুযোগ নিচ্ছেন।’
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকালে দেশব্যাপী ১ কোটি স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ ও চালসহ টিসিবি পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম, ২০২৩-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। রাজধানীর মালিবাগ এলাকায় অবস্থিত পিডব্লিউডি স্টাফ কোয়ার্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) আঞ্চলিক কার্যালয়।
এ সময় আলুর উৎপাদন সংক্রান্ত কৃষি মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য খণ্ডন করে তিনি বলেন, ‘আমাদের কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, এক কোটি দেশে উৎপাদিত হয় ৭-৮ লাখ মেট্রিক টন আলু। আর আমরা ভোগ করি ৭০-৭৫ লাখ মেট্রিক টন। তাহলে ২৭ লাখ মেট্রিক টন আলু উদ্বৃত্ত থাকার কথা। কিন্তু আমরা এই হিসাবটি সঠিক বলে দেখছি না।’
টিপু মুনশি বলেন, ‘আজকে আমরা সব কোল্ড স্টোরেজ হিসাব করে দেখেছি, এক কেজি আলুও আমদানি হয়নি। তাহলে কোথাও ভুল রয়েছে। হয় উৎপাদনের পরিসংখ্যানে ভুল আছে, অথবা চাহিদাতে ভুল আছে। এই ভুলের কারণে সুযোগ নিচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। তারা আজকে কোল্ড স্টোরেজে পণ্য রেখেছেন। সেই পণ্যের ওপর দাম বাড়িয়ে দিয়ে মানুষকে কষ্ট দিচ্ছেন। সেটি আমরা নিরসন করার চেষ্টা করছি এবং পাশাপাশি আলু আমদানির ব্যবস্থা করেছি।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে দেশে আলু আসতে শুরু করেছে। ৬৮ হাজার টন আলু দেশে এসেছে। যা আমাদের জন্য কিছুই না। কিন্তু তারই প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা বুঝতে পারছেন আলু ঢুকবে, তারা দাম কমাতে শুরু করেছেন। এই কথা সত্যি অসাধু ব্যবসায়ীরা বারবার সুযোগ নেয়। আমরা চেষ্টা করছি, সীমিত জনশক্তি নিয়ে একে নিয়ন্ত্রণ করার।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। আরও উপস্থিত ছিলেন টিসিবি চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, ডিএসসিসির ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মামুন রশিদ শুভ্র। এতে সহযোগিতা করেন মেসার্স জে কে ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. মনির হোসেন জমাদ্দার।